করোনা সন্দেহে যমুনার দূর্গম চরে ফেলে যাওয়া বৃদ্ধকে উদ্ধার করলেন ইউএনও।
পাবনার বেড়া উপজেলার যমুনা নদীর দূর্গম চরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন এক বৃদ্ধকে (৬৫) ফেলে রেখে যায় কে বা কারা।
খবর পেয়ে উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের দূর্গম চর চরসাফুল্যা গ্রামের চর থেকে সোমবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আনাম সিদ্দিকী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি চিকিৎসক দল নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে উদ্ধার করা বৃদ্ধকে বেড়া আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়।
এলাকাবাসী ও উপজেলা প্রশাসন জানায়, গত শনিবার বিকেলে দূর্গম যমুনা নদীর চর চরসাফুল্যা গ্রামে ওই বৃদ্ধকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তিনি চরবাসীকে তার পরিচয় দিতে পারেননি। এছাড়া তিনি কীভাবে ওই চরে এলেন তাও বলতে পারেননি। রবিবার ওই বৃদ্ধ হাটতে হাটতে গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়ির কাছে গিয়ে নেতিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন ও ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে খবর পেয়ে ইউএনও এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন।
এতে রবিবার বিকালে ওই গ্রামে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন মাঠকর্মী গিয়ে ওই বৃদ্ধকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আসেন। তবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় জানান, রবিবার হাসপাতাল থেকে যেসব ডাক্তাররা গিয়েছিলেন তারা ঐ বৃদ্ধর কাছে যায়নি। দূর থেকেই ওষুধ দিয়ে চলে এসেছিলেন। খবর পেয়ে সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আনাম সিদ্দিকী দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সরদার মো. মিলন মাহমুদসহ একটি চিকিৎসা দল (মেডিকেল টিম) নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। বিকেলে ওই দলটি বৃদ্ধকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ইউনিটে এনে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে ইউএনও আসিফ আনাম সিদ্দিকী বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে আইসোলেশনে এনে ভর্তি করেছি। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ওই বৃদ্ধ কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তার পরিচয় বের করতে পারিনি। তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, কোনো নৌকা থেকে তাকে কেউ যমুনা নদীর ওই নির্জন চরে রেখে যাওয়া হয়েছে।