সরকারি অর্থে কর্মকর্তাদের অপ্রয়োজনীয় বিদেশ সফর বন্ধ করতে বলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেছেন, “আমরা অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ করি। অনেক সময় পুকুর খনন শিখতে উগান্ডায় যাচ্ছি। কিন্তু কেন?”
সোমবার প্রকল্প পরিচালকদের (পিডি) এক প্রশিক্ষণ সভার সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানের এই প্রশ্ন রাখেন মান্নান, যিনি নিজেও এক সময় সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন।চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্মকর্তাদের উগান্ডা সফর নিয়ে সমালোচনার মধ্যে গত জানুয়ারিতে এক অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রীই বলেছিলেন, কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর নিয়ে তিনি ‘রক্ষণশীল’ হলেও প্রধানমন্ত্রী অনেক ‘উদার’।
কিন্তু সোমবারের অনুষ্ঠানে তিনি প্রকল্পের আওতায় অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ না করার আহ্বান জানান।মান্নান বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি, তিন দিনের স্টাডি টুরে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আমেরিকায় যাচ্ছেন। আমেরিকায় যেতে আসতেই লাগে দুই দিন। তাহলে ওই তিন দিনের টুরে আমেরিকায় গিয়ে আমরা কী শিখছি?”
প্রকল্প পরিচালকদের প্রকল্প এলাকায় না থাকার বিষয়টি তুলে আবারও উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। “আমাদের দুর্ভাগ্য, অধিকাংশ প্রকল্প পরিচালকগণ ঘুরে বেড়ান। তাদের অনেক দায় দায়িত্ব আছে, হয়ত তাদের ঢাকায় যেতে হয়। তবে দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ানোর নামে আমরা যা করি এইগুলোও মানুষের নজরে থাকে, এটা আমাদের মনে রাখা উচিৎ।”
ঢাকার ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ ইন্সস্টিউট অব ম্যানেজমেন্টে (বিআইএম) দুদিনব্যাপী ‘প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (পিএমআইসি) অফ আইএমইডি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ সভা ও সনদ বিতরণীর এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)।অনুষ্ঠানে বিআইএম’র মহাপরিচালক তাহমিনা আখতার, আইএমইডির অতিরিক্ত সচিব আব্দুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আইএমইডি সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়েজউল্লাহ বলেন, ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়েব বাস্তবায়ন হয় না। এসব প্রকল্প একবার দুই বার এমনকি তৃতীয়বার পর্যন্ত সংশোধন করা হচ্ছে। এতে প্রকল্পে ব্যয় বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে।