কারোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশকে দুই লাখ পিপিই ও মাস্ক দিলো সাতটি বেসরকারি ব্যাংক। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের হাতে এসব সুরক্ষা সামগ্রী তুলে দেন সাত ব্যাংকের প্রতিনিধিরা।
আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) এ সময় ব্যাংকগুলোর এ ধরনের মহতী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এ ধরনের মানবিক কাজে বাংলাদেশ পুলিশের পাশে থাকায় তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সূত্র জানায়, পুলিশকে সুরক্ষা সামগ্রী দেওয়া ব্যাংকগুলো হলো—আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার প্রথম দিন থেকেই নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণের পাশে রয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। করোনা সংক্রমণ রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি, আক্রান্ত ও কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষের পাশে দাঁড়ানো, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, লকডাউন কার্যকর করা, আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়ার কাজ করে যাচ্ছেন তারা। এমনকি করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে, যখন স্বজনরাও কাছে আসেন না, তখন ওই মৃত ব্যক্তির সৎকারের মতো মানবিক কাজও নিরলসভাবে করে যাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশ কর্মকর্তারা আরও জানান, চলমান এ পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। গত সোমবার পর্যন্ত সারাদেশে ৩৩৬ জন পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রোধে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে। করোনা সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে পুলিশের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় সাতটি ব্যাংক। তারা পুলিশ সদস্যদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের এক লাখ পিপিই এবং এক লাখ মাস্ক হস্তান্তর করেছে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মানের এই পিপিই এবং মাস্ক তৈরি করেছে বেক্সিমকো গ্রুপের নতুন প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো পিপিই ডিভিশন।