অর্থ মন্ত্রণালয় বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের রফতানি খাতের শ্রমিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজের গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ‘ক্ষতিগ্রস্ত মালিকরা শ্রমিকদের তিনমাসের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ২ শতাংশ সুদে এই প্যাকেজ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন।’ তিন মাস পর্যন্ত বেতন অবশ্যই কোনও ব্যাংকে বা মোবাইল আর্থিক সেবা অ্যাকাউন্টে দিতে হবে।
গাইড লাইনে বলা হয়েছে, উৎপাদিত পণ্যের অন্তত ৮০ শতাংশ রফতানি হয় এসব প্রতিষ্ঠান এ তহবিল থেকে অর্থ নেয়ার যোগ্য হবে। পাশাপাশি সংকট চলাকালীন (এপ্রিল, মে ও জুন) তিন মাসের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা এ তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে হবে।
এই ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংককে ইতিমধ্যে একটি বিশদ নীতিমালা তৈরি করতে বলা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ব্যাংকের নামে ৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করবে। তার বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার আলোকে দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কাছে ক্ষতিগ্রস্ত রফতানিকারকরা এই তহবিল থেকে ঋণের জন্য আবেদন করবেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে শিল্প মালিকদের নামে ঋণ হিসেবে তহবিল থেকে অর্থ দেয়া হবে। এই ঋণের মেয়াদ হবে দুই বছর। এর মধ্যে ছয় মাস গ্রেস পিরিয়ড থাকবে। সরকার কোনো ধরনের সুদ নেবে না। যে ২ শতাংশ সুদ শিল্প মালিকদের কাছ থেকে নেওয়া হবে, তা ঋণ বিতরণকারী ব্যাংক সার্ভিজ চার্জ হিসেবে নেবে।
গত ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিলের ঘোষণা দেন।