আমাদের আহামরি কিছু না, আমরা মহা আবিষ্কার কিছু করি না। আমরা জানা কথাটাকে বলেছি সেটাকে কাগজে কলম ধরে।বাংলাদেশের পাঁচজন বিজ্ঞানী। বিজন কুমার শীল, ফিরোজ আহমেদ, নিহাদ আদনান, মোহাম্মদ রাইদ জমিরুদ্দিন, মুহিবউল্লাহ খোন্দকার- এরা সব বাংলাদেশি। তারা এমন একটা জিনিস আবিষ্কার করেছেন, তার জন্য কাউকে ঢাকায় আসার দরকার নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপেই গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস সংক্রামণ নির্ণায়ক কিট-এর কার্যকারিতা পরীক্ষার দরজা পর্যন্ত যেতে পেরেছি বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আজ রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এসব মন্তব্য করেন। ইউনিয়নে যে ৫ হাজার সেন্টার আছে ওখানে বসে পরীক্ষা করা যাবে, ডাক্তারের চেম্বারে পরীক্ষা করা যাবে। ওই যে ব্যুরোক্রেসি ওটাকে না কমাতে পারলে ….।
আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) ধন্যবাদ দেই। যেই কারণে আপনার হস্তক্ষেপের জন্যই শেষ পর্যন্ত উদ্ভাবিত কিটটা পরীক্ষার দরজা পর্যন্ত যেতে পেরেছে। তিনি আরও বলেন, এখন বিএসএমএমইউ’র ভাইস চ্যান্সলরের কাছে আবেদন যে, আপনারা দ্রুত পরীক্ষা করেন, নিরপেক্ষভাবে পরীক্ষা করেন।
ভালো হলে বলেন, খারাপ হলেও বলেন। আমাদের কোনো আপত্তি নাই। আমরা জানি, আমরা পরীক্ষায় পাস করবো। কারণ এটার গবেষণা আমরা ভালোভাবে করেছি। সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আজকে বলছে, আমাদেরকে দাও, আমার পরীক্ষা করে দেখি। কিন্তু আমার কাছে নিজের দেশ পরীক্ষা করার আগে- বাইরে করতে আমার আত্মসম্মানে লাগে।
যে দেশের জন্য আমি যুদ্ধ করেছি, যে মুক্তিযুদ্ধে যে দেশ ফসল- সেখানে তার নিজের আত্মসম্মানবোধ আছে। সেই কারণেই অন্য কারোর আগে বাংলাদেশ দেখুক। আমরা এখনো নমুনা বিএসএমএমইউতে পাঠাইনি। তারা আগামীকাল আমাকে ডাকবে। তারা নিজেরা কালকে মিটিং করে জানাবে কবে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যেতে হবে।