গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনা আক্রান্ত হয়ে নিজের প্লাজমা থেরাপি নেওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি ম্যাজিকের মতো কাজ করে। নিজে এটা নিয়ে তা বুঝতে পারছি।’ তিনি বলেন, ‘প্লাজমা থেরাপি সব করোনা রোগীর পাওয়া দরকার। শুধু আমরা কয়েকজন সুবিধা পাব, আর দেশের অন্যরা বঞ্চিত থাকবে, তা হতে পারে না।’
এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘এখন প্লাজমা ডোনেট করার জন্য দেশের মানুষকে বোঝাতে হবে। যদি সবাই মিলে উদ্যোগ নেওয়া হয়, বোঝানো যায়, তাহলে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে গেছেন ও শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে, তারা খুব সহজে ডোনেট করতে পারবে।’ তিনি বলেন, ‘এটার জন্য কিছু সরঞ্জামও লাগবে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে একটি প্লাজমা ব্যাংক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি।’
গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি বলেন, ‘দেশে প্লাজমা ডোনেট করার মতো প্রচুর মানুষ আছে। সবকিছু মিলিয়ে কাজটা অত কঠিন কিছু নয়। আমাদের যে সামর্থ্য-সক্ষমতা, তা দিয়েই দ্রুত এটা করে ফেলতে পারব। এতে দেশের মানুষ খুব উপকৃত হবে।’