বাবা আসবে তার জন্যে চকলেট নিয়ে। পুলিশ চাচ্চুদের দেখে উৎফুল্ল মনে প্রশ্ন “আব্বু কি চলে আসছে?”
অবুঝ শিশুটি তার পৃথিবীতে এতক্ষণে কি ঘটে গেছে বুঝতে না পেরে দিব্যি হাসছে, খেলছে, আবার মা, বোন, দাদীর কান্না দেখে বিস্মিতও হচ্ছে! তার এসপি আংকেল এবং অন্য পুলিশ চাচ্চুদের চোখেও অশ্রুধারা..! এর মধ্যেই শিশু সুলভ আবদার ছবি তুলে দেয়ার।
প্রিয় আব্দুল্লাহ, বাবা আমরা তোমার চোখে তাকিয়ে তখন বলতে পারিনি জীবনের নির্মম সত্যটি! একদিন বড় হয়ে জানতে পারবে তোমার পুলিশ বাবা মহামারি করোনা যুদ্ধে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে লড়াই করেছে দেশমাতৃকার তরে।
মানুষ ও মানবতার তরে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় উৎসর্গ করেছে জীবন। সেদিন এই লাল সবুজের বুকে তুমি মাথা উঁচু করে গর্বে উদ্ভাসিত হবে। ইউনিফর্ম পরিহিত লাখো লাখো পুলিশ চাচ্চুদের মুখাবয়বে ভেসে উঠবে তোমার বাবার মুখ!
মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ যোদ্ধা বাংলাদেশ পুলিশের বীর সদস্যরা প্রাকৃতিক কিংবা মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগে কখনোই দেশপ্রেমের পরীক্ষায় পিছপা হয়নি ভবিষ্যতেও হবেনা। সেবার সুমহান ব্রতে আমরা সবসময়ই আছি আপনাদের পাশে জনগণের পুলিশ হয়ে।
প্রসঙ্গত ডিএমপির ওয়ারী থানায় কর্মরত কুমিল্লার বুড়িচংয়ের সন্তান পুলিশ কনস্টেবল জসিম করোনা আক্রান্ত অবস্থায় গতকাল ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।