সাম্প্রতিক শিরোনাম

বিএনপির এ কেমন হ’রতাল?

দুই বছর পর গতকাল হর’তাল ডাকে বিএনপি। ঢাকা সিটি নির্বাচনের ফলাফল প্র’ত্যাখ্যান করে ডাকা এই হর’তালের প্রভাব লক্ষ করা যায়নি রাজধানীর কোথাও। নিত্যদিনের মতোই সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। সকাল থেকে খোলা ছিল অফিস-আ’দালত, দোকানপাট—সবকিছু।

ভোর থেকেই সব ধরনের যানবাহন চলাচল করেছে। জীবনযাত্রায় কোনো ব্য’ত্যয় ঘটেনি। দলের নয়াপল্টন অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে কিছু সময় পার করা ছাড়া গোটা শহরের কোথাও পি’কেটিং বা মি’ছিলের খবর পাওয়া যায়নি।

কেবল গতকালই নয়, এর আগে সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্র’তিবাদে ডাকা হ’রতালের দৃশ্যপট ছিল ত’থৈবচ। তারও আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে ঘিরে এবং ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ৯৪ দিনের লাগাতার অ’বরোধের একপর্যায়ে শিথিল হয়ে আসতে থাকে হর’তাল-অ’বরোধের আবেদন।

ফলে একপর্যায়ে তা স্থগিত করা হয়। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসেই দুই দফা হর’তাল ডেকেও সুবিধা করতে পারেনি বিএনপি। তারপর ২০১৭ সালে হর’তাল ডেকেও পালন করতে পারেনি দলটি। তবু কেন বারবার হ’রতাল ডাকে বিএনপি—এখন এই প্রশ্ন জনমনে। এ নিয়ে কথা বলেছেন বিএনপির একাধিক নেতা।

দলের সিনিয়র একজন নেতা বলেন, হ’রতাল সফল করতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত প্রস্তুতি। অতীতে হ’রতালের পূর্ব রাতে মশাল মি’ছিলসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো যে জনগণ টের পেত কাল হর’তাল। কেন্দ্র থেকে গ্রুপে গ্রুপে ভাগ করে দেওয়া হতো কারা কোন এলাকায় রা’জপথে থাকবেন। পি’কেটাররা ভোর থেকেই রাস্তায় নেমে পড়তেন।

মি’ছিল-স্লোগানে ও সড়কে ব্যা’রিকেড দিয়ে একটি অন্যরকম পরিবেশ তৈরি করা হতো। দলের বড়ো নেতারা থাকতেন নেতৃত্বে। বর্তমান রা’জনৈতিক বাস্তবতায় সেই পরিবেশ ও পরিস্থিতি এখন আর নেই। তবু বাধ্য হয়ে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে অথবা দল ও দেশের প্রয়োজনে হ’রতাল দিতে হয়। তবে জনস্বার্থে হ’রতাল দিলে তাতেও যদি মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া না দেয়, তাহলে তো বিএনপির কিছু করার নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, গতকাল হ’রতাল ঘোষণার পর কীভাবে হ’রতাল পালন করা হবে তার কোনো নির্দেশনা ছিল না। ন্যূনতম কোনো প্রস্তুতিও ছিল না। ঘোষণা দিয়েই সবাই ক্ষা’ন্ত। রিজভী আহমেদ ছাড়া বড়ো নেতারা কেউ রা’জপথে নামেননি।

মহাসচিব ফখরুল ইসলাম পার্টি অফিসে ব্রিফিং করেছেন। অন্য নেতারা বাসায় সময় কাটিয়েছেন। তাহলে হ’রতাল হবে কী করে? দলের অন্য এক নেতা বলেন, নেতাকর্মীদের নামে মা’মলা ও গ্রে’ফতারি প’রোয়ানা থাকায় রা”জপথে পি’কেটিং করতে নামেননি তারা। হরতা”ল ডেকে তা সফল করার মতো সাংগঠনিক পরিস্থিতি এখন বিএনপির নেই।

তবে সিনিয়র নেতারা রা’জপথে নামলে অন্যান্য নে’তা ও কর্মী-সমর্থকেরা রাস্তায় নামতে বাধ্য। কিন্তু হঠাত্ ডাকা এই হ’রতালের জন্য বিএনপির নে’তাকর্মীরা প্রস্তুত ছিলেন না।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা হ’রতাল ডেকেছি। তারা কা’রাবন্দি দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও প্রহ’সনের নির্বাচন বা’তিলের দা’বিতে এই হর”তাল প্রত্যাশা করেছিল, তাই এটা দেওয়া হয়েছিল।’

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, আল খারজ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও আল কাসিম বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন...

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের ও সুইস পর্যবেক্ষক দল।দুপুর একটার দিকে উপজেলার কয়েকটি ভোট...

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার উদ্দেশ্যই ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বলে জানায় ডিবি। বিএনপি...