ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাখ মানুষের জনসমাবেশ জামাতের পূর্ব পরকল্পিত, এই সংক্রান্ত একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। গণজমায়েতের কারণ অনুসন্ধানে নামলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কাছে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তারা জানতে পারে সেদিনের জানাজায় লোকসমাগমের বিষয়টি ছিল পূর্বপরিকল্পিত। মূলত জামায়াতে ইসলামের পাতা ফাঁদে পড়ে খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় লাখো মানুষের জমায়েত হয়। কিন্তু খেলাফত মজলিসের একাধিক নেতা জানান জামায়াতের আমিরের সাথে অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তি মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারী নয়। এবং তারা জানান, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীরের নাম জুড়ে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে উল্লেখিত কথোপকথন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান এর কন্ঠ সম্পূর্ন নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ফাঁস হওয়া ফোনালাপে শোনা যায় এক ব্যক্তি বলছেন “সবাইকে বলে দেয়া হয়েছে ভালো মানুষের জমায়েত হবে, অন্য ব্যক্তি বলছেন শুধু ভালো জামায়াত হলে হবেনা, অনেক বেশি মানুষ যেনো হয়। আনসারী হুজুরের জানাযা পুরো দুনিয়ার মানুষ দেখবে। লকডাউন-ফকডাউন পাত্তা দিয়েন না।”
তারপর রাস্তায় মানুষের আসার ব্যপারে বলেন একপ্রান্ত থেকে একজন এবং পুলিশি সমস্যার কথা বলেন। অপর জন জানান, “আমিরি সাহেবের ছেলের সাথে কথা হইছে উনি লোক দিবেন। এছাড়াও বলা হয় নেতাকর্মীরা যাবে ও বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে ছাত্রদের আনার কথা বলা হয়।” তারপর পুলিশের বাধার কথা আবারো ব্যক্ত করা হলে অপর জন বলেন, “এতো লোকের সামনে পুলিশ কিছুই করতে পারবেনা। একটা থানায় কত পুলিশই বা থাকে। আরও বলা হয় তাদের নেতাকর্মীরা থাকবে কিছু করলে সেটা নেতাকর্মীরা সামাল দিবে।”
সব শেষে কথোপকথনে শোনা যায়, “বিজিবি কিছুই করতে পারবেনা, সবাই যেনো আসে এবং এই সুযোগে এই সরকারকে উচিত শিক্ষা দেয়া যাবে।” আরও বলা হয়, “বাধা দিলে মতিঝিলের চেয়েও ভয়াবহ অবস্থা করে দেয়া হবে। নারায়ণগঞ্জ চট্টগ্রাম সহ সব জায়াগায় বলা হয়েছে তারা প্রস্তুত আছে। ফখরুল সাহেব বিষয়টি জানেন ও বিএনপির কর্মীরাও থাকবে।”
খেলাফত মজলিসের একাধিক নায়েবে আমীর জানান, “প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা জানাজার নামাজের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু এতে অন্য কারো পুর্ব পরিকল্পনা ছিলো কিনা আমাদের জানা নেই।” তার মাঝে চাঞ্চল্যকর এই ফোনলাপের বিষয়ে জানতে চাইলে খেলাফতে মজলিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নায়েবে আমির বলেন, “অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি মুফতি মাহফুজুল হক নয়। জামায়াতের কোনো নেতার সাথে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের কথোপকথন এটি। এখানে শুধুই খেলাফত মসলিসকে জড়ানো হচ্ছে।”