ইতোমধ্যে ভারতকে বিমানবন্দরের বর্ধিত অংশে বাংলাদেশের ভুখন্ডে লাইট বসানোর জন্য আবেদন নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ।
এদিকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সবার নজর এড়িয়ে গেছে। ভারত বাংলাদেশের বেশ কিছু পণ্যের উপর এন্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছিল যেন সেই সব পণ্য ভারতে রপ্তানি হতে না পারে। এর ভেতর রয়েছে পাট পণ্য, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, ফিশিং নেট।
বাংলাদেশ জানুয়ারি মাসে ভারতকে অনুরোধ করে এই এন্টি ডাম্পিং শুল্ক উঠিয়ে নিতে। কিন্তু ভারত সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে।
যেহেতু কারন ছাড়া এন্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করা World Trade Organisation (WTO) এর নিয়মের পরিপন্থী তাই বাংলাদেশ WTO এর কাছে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে নিষ্পত্তি চাইবে।
ভারতের ব্যাবসায়ীদের দাবি বাংলাদেশ তার উৎপাদন খরচের চেয়েও কম দামে এসব পণ্য ভারতে রপ্তানি করছে যে কারনে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশি পণ্যের সাথে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠছে না। এর জন্য ভারত এই শুল্ক আরোপ করছে।
কিন্তু বাস্তবতা হল বাংলাদেশ WTO এর নিয়ম মেনেই পণ্য রপ্তানি করছে। উৎপাদন খরচের কমে রপ্তানি করছে এটা সর্বৈব মিথ্যা। সাধারণত চীন সব থেকে বেশি এই টেকনিক ব্যাবহার করে অন্য দেশের বাজার দখলে নেয়ার জন্য। কিন্তু বাংলাদেশ এ এসব পন্যের উৎপাদন খরচ এমনিতেই কম। কারন এদেশে প্রচুর পাট হয়। গার্মেন্টস এর জন্য হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ও কম মূল্যে উৎপাদিত হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমান অনেক বেড়ে যাওয়ায় ভারত শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আশাকরি উপযুক্ত সুযোগ পেলে আমাদের রপ্তানি খাত আরো শক্তিশালী হবে। তবে বৈশ্বিক মন্দার কারনে দেশের রপ্তানির উপর ধাক্কাটা বেশ জোরেশোরে লেগেছে।
ভারতের ও কয়েকটি প্রান্তিকে রপ্তানি বৃদ্ধি তো পায়নি বরং কমে গেছে। চীনের অবস্থা আরো খারাপ। করনা ভাইরাস এর জন্য দেশটির ৩৩ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।