রোহিঙ্গাদের নয়, নোয়াখালীর ভাসানচরে এখন দেশের গৃহহীনদের পাঠানোর কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভাসানচর ঘুরে এসে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানান মন্ত্রী। প্রথমবারের মতো ভাসানচরের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু ইকোনমিক জোন, মাতারবাড়ি প্রকল্পও দেখে আসেন ড. মোমেন।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ কোনো উদ্দেশে নয়, সাধারণ শিক্ষা সফর হিসেবেই এই জায়গাগুলো দেখে এসেছি। মনে হলো, ওখানে নতুন সিঙ্গাপুর তৈরি হচ্ছে। দারুণ একটা সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে।’
ভাসানচর-সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানো উচিত নয়। এত সুন্দর জায়গা, কেন রোহিঙ্গাদের পাঠানো হবে? বরং দেশের কিছু মানুষকে সেখানে পাঠানো উচিত। এটা সত্যি খুব সুন্দর এবং সম্ভাবনার জায়গা।’
ড. মোমেন বলেন, ‘ভাসানচরে আপাতত কয়েকশ ঘর তৈরি করা হয়েছে। এটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। আরও ঘর তৈরি হবে। রোহিঙ্গাদের সেখানে নেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। বরং আমাদের দেশে যাদের বাড়িঘর নেই তাদের পাঠানো উচিত। সে বিষয়টি আমি এখন ভাবব। রোহিঙ্গাদের পাঠিয়ে এত সুন্দর জায়গা নষ্ট করতে চাই না।’
২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারে সেনা অ’ভি’যা’ন থেকে বাঁচতে সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পা’লি’য়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। নতুন পুরোনো মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের বিভিন্ন শি’বি’রে মানবেতর অবস্থায় বসবাস করছে।
তাদের মধ্য থেকে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করতে সরকারের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা নেয়া হয়। এ লক্ষ্যে সেখানে অবকাঠামো নির্মাণও হয়েছে। তবে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এ বিষয়ে সরকারের বি’রো’ধি’তা করে আসছে।
ভাসানচরের সৌন্দর্য ও সম্ভাবনার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয়ও করা যেতে পারে। ভালো এবং সুন্দর শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ভাসানচর খুবই দৃষ্টিনন্দন জায়গা। সেখানে ভালো ভালো রিসোর্টও হতে পারে। সেখানে গিয়ে যে কেউ ওয়াটার স্কি করতে পারবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন, ভাসানচরে যেতে রোহিঙ্গারা রাজি নয়- বিষয়টি ঠিক নয়। রোহিঙ্গারা তো এক পায়ে রাজি। কিন্তু ইউএনএইচসিআরসহ বিদেশি সংস্থা রাজি নয়। কারণ তারা কক্সবাজারে ফাইভ স্টার হোটেলে থাকে। ভাসানচরে ফাইভ স্টার হোটেল হয়নি। এজন্য তারা সেখানে যেতে রাজি নয়। রোহিঙ্গাদের বিষয়েও আপত্তি জানায় বারবার।’
ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা কোনো লোককে ভাসানচরে নেয়ার জন্য যাইনি। আমরা জায়গাটি দেখতে গিয়েছিলাম। এটা সত্যি খুব সুন্দর জায়গা। আপাতত রোহিঙ্গাদের যাওয়ার বিষয়টি আমাদের মাথায় নেই।’
ভাসানচরের নিরাপত্তা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এবারের বুলবুল ঘূ’র্ণি’ঝ’ড়েও সেখানে কোনো ক্ষ’তি হয়নি। বরং কিছু লোক সেখানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। গত কয়েক বছর ধরে সামুদ্রিক জ’লো’চ্ছ্বা’সের কোনো পানি সেখানে ঢোকেনি। দ্বীপজুড়ে ৩০ ফুট উঁচু বাঁধ দেয়া হয়েছে।’
নোয়াখালীর সন্দ্বীপ থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে ভাসানচরের অবস্থান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ওখানে নিয়মিত যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। সন্দ্বীপ থেকে নিয়মিত স্টিমার যাচ্ছে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment