সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে ‘ভ্যাকসিন বিষয়ক অ্যাপ তৈরিতে ৯০ কোটি টাকা খরচ ’ শীর্ষক খবর প্রকাশ হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ নিয়ে পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি জানতে চাইলে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) পলক জানান, টাকা খরচের খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এছাড়া তিনি বলেন, অ্যাপ তৈরি করতে কোনও টাকাই খরচ হবে না। আমাদের একটি ডাটাবেজ সফটওয়্যার আগে থেকেই তৈরি আছে। আমরা সেই ডাটাবেজের ওপর ‘সুরক্ষা প্ল্যাটফর্ম’ তৈরি করবো। ওটাই হবে সেই অ্যাপ। আইসিটি বিভাগে কর্মরত প্রোগ্রামাররাই (ইনহাউজ প্রোগ্রামার) অ্যাপটি তৈরি করবেন।
নিজেদের জনবল, অফিস, সোর্স ব্যবহার করে কাজটি করা হবে। ফলে এর জন্য কোনও টাকাই খরচ হবে না। কারণ কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অ্যাপটি তৈরির জন্য আমরা কার্যাদেশ দিইনি। সকালে অফিসে এসে তিনি বিষয়টির খোঁজ নিয়েছেন। তার দফতরের কেউই এমন তথ্য প্রকাশ করেনি মর্মে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন। তিনি মনে করেন, একটি শুভ উদ্যোগকে (ভ্যাকসিনেশন) বাধাগ্রস্ত করতে এমন সংবাদ করা হয়েছে।
আইসিটি বিভাগের সেন্ট্রাল এইড ম্যানেজমেন্ট (ক্যাম) নামের একটি সফটওয়্যার রয়েছে। সফটওয়্যারটি আইসিটি বিভাগের প্রোগ্রামারদের একটি দল তৈরি করেছে। ওই সফটওয়্যারের মাধ্যমে করোনাকালে দেশের ৫০ লাখ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
এই ক্যাম সফটওয়্যার ব্যাকএন্ডে থেকে কাজ করেছে। টাকা সুবিধাভোগীরা নগদ, বিকাশ ইত্যাদি মোবাইল আর্থিক সেবার মাধ্যমে পেয়েছেন। সেই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেই অ্যাপটি তৈরি করা হবে বলে জানা গেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমাদের বলা হয়েছে যেহেতু একটা ডাটাবেজ রেডি আছে এবং সেটা পরীক্ষিত। ফলে ওই ডাটাবেজটি ব্যবহার করে সুরক্ষা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন দিতে হলে গ্রহীতার বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত (নাম, ঠিকানা, বয়স ইত্যাদি) থাকতে হবে। অনেক তথ্য ক্রস চেক করতে হবে। ফলে প্ল্যাটফর্ম একটা প্রয়োজন হবেই। আমরা ‘সুরক্ষা প্ল্যাটফর্ম’ ব্যবহার করবো। যত দ্রুত সম্ভব অ্যাপটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
পলক বলেন, বলা হচ্ছে অ্যাপটির নির্মাণ ব্যয় ৯০ কোটি টাকা। এই টাকা কে দেবে- প্রশ্ন করেন তিনি। তিনি বলেন, ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীরা খরচ করতে পারেন। ৯০ কোটি টাকার কেনাকাটার জন্য পারচেজ কমিটির কাছে যেতে হবে।