মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে সিআইড।বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সিআইডির তদন্তদলটি।
তদন্তদলের সদস্যরা মসজিদের ভেতর এবং বাইরের বিভিন্ন অংশ পর্যবেক্ষণ করেছেন। এদিকে জেলা প্রশাসনের গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন গতকাল জমা দেওয়ার নির্ধারিত তারিখ থাকলেও আরো সাত দিন সময় চেয়েছেন তদন্ত দলের আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজস্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববি।
এ ছাড়া তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানির গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনও গতকাল দাখিল করার কথা ছিল। কিন্তু রাত ৮টা পর্যন্ত তাদের তদন্ত প্রতিবেদনও জমা দেওয়া হয়নি। সকাল থেকে মসজিদ এলাকায় তিতাসের কর্মীরা লিকেজ পাইপ মেরামতের কাজ করেছেন।
একই সঙ্গে মসজিদ লাগোয়া বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারটিও সরিয়ে নিয়েছেন ডিপিডিসির কর্মীরা।
৪ সেপ্টেম্বর রাতে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় পরদিন রাতে পুলিশের এসআই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে এজাহারে তিতাস, ডিপিডিসি, মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে অবহেলা ও গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়। সেই মামলাটিই গত বৃহস্পতিবার সিআইডির ওপর ন্যস্ত করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মো. বাবুল হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছেন তাঁরা। পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম বলেন, যেহেতু মামলাটি স্পর্শকাতর, তাই এটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় করতে তদন্ত কমিটি আরো সাত দিনের সময় চেয়ে আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর করা হয়েছে। এদিকে তিতাসের নারায়ণগঞ্জ জোনের উপমহাব্যবস্থাপক মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, মসজিদ এলাকার যে পাইপলাইনে ছয়টি লিকেজ ছিল গতকাল সেটি সারানো হয়েছে।
৪ সেপ্টেম্বর এশার নামাজের সময় ফতুল্লার পশ্চিম তল্লার বাইতুস সালাত জামে মসজিদের ভেতরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ৪৩ জন দগ্ধ হন।
এর মধ্যে ৩৭ জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়।