সাম্প্রতিক শিরোনাম

মারা গেছে রাজাকার আবদুস সোবহান

একাত্তরে মানব”তাবিরোধী অপ”রাধের দায়ে প্রা”ণদণ্ডে দণ্ডি”ত জামায়াত ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুস সুবহান আ”র নে”ই। শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেডি”কেল কলেজ (ঢামেক) হাস”পাতালে চিকিৎসা”ধীন অব”স্থায় মা”রা যান। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুবহানের আত্মীয় গোলাম হাদী সাঈদী।

তিনি জানান, আবদুস সুবহান কাশিমপুর কারা”গারে ছিলেন। দীর্ঘ”দিন কারাগা”রে থেকে অসু”স্থ হয়ে পড়”লে তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ম”ৃত্যু হয়।

জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি আবদুস সুবহানকে কাশিমপুর কারাগা”র থেকে ঢাকা মেডিকে”লে আনা হয়। বার্ধক্য”জনিত নানা রো”গে ভোগ”ছিলেন তিনি। আজ দুপুর ১ টা ৩৩ মিনিটে তিনি মারা যান

লা’শ ঢাকা মেডিকেল ম”র্গে রয়েছে জানিয়ে ঢামেক পুলি”শ ক্যাম্পের ইনপেক্টর বাচ্চু মিয়া জানান, মর”দেহ ময়’নাতদন্তে”র জন্য ঢামেক ম”র্গে রয়েছে।

আবদুস সুবহান জামায়াতের শীর্ষ”স্থানীয় নেতা ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে রা’জনীতি করায় সংগঠনে তার প্রভাব ছিল উল্লেখ করার মত। তিনি দলীয় টিকিটে পাবনা-৫ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। সবশেষ ২০০১ সালের নির্বাচনে চারদলীয় জোটের মনোনয়ন নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়।

জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুস সুবহান পাকিস্তান আমলে ছিলেন পাবনা জেলা জামায়াতে”র আমির ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য। তিনি পাবনা আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক হেড মাওলানা ছিলেন।

২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের এই প্রভাবশালী নেতাকে যু’দ্ধাপরাধের দা’য়ে প্রাণদ’ণ্ড দেন মানবতাবি’রোধী অ’পরাধের বিচারে গ’ঠিত আন্তর্জাতিক অপ”রাধ ট্রা’ইব্যুনাল।

প্রসিকিউশনের আনা ৯ টি অ’ভিযোগের মধ্যে ছয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃ’ত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাকে ফাঁ’সির র’জ্জুতে ঝু’লিয়ে দ’ণ্ড কার্যকর করার আ’দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বি’চারপতি ওবায়দুল হাসান।

সুবহান হল জামায়াতের নবম শীর্ষ নেতা, যিনি একাত্তরের যু’দ্ধাপরাধের দায়ে দো’ষী সাব্যস্ত হলেন।

রায়ের দিন বি’মর্ষ দৃষ্টি নিয়ে কাঠগড়ায় চেয়ারে বসে ছিলেন সুবহান। তার পরনে ছিল সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামা। গায়ে খাঁকি হাফ স্যুয়েটারের সঙ্গে মাথায় টুপিও ছিল।

প্রসিকিউশনের আনা ১ নম্বর অ’ভিযোগে ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে বের করে ২০ জনকে হ’ত্যা; ৪ নম্বর অ’ভিযোগে সাহাপুর গ্রামে ছয়জনকে হ’ত্যা এবং ৬ নম্বর অ’ভিযোগে সুজানগর থানার ১৫টি গ্রামে কয়েকশ’ মানুষকে হত্যা’র দায়ে সুবহানকে দেয়া হয় মৃ’ত্যুদ’ণ্ড।

২ নম্বর অভিযোগে পাকশী ইউনিয়নের যুক্তিতলা গ্রামে পাঁচজনকে হ’ত্যা এবং ৭ নম্বর অভি’যোগে সদর থা’নার ভাড়ারা ও দেবোত্তর গ্রামে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দেয়া হয় আমৃ’ত্যু কারাদ’ণ্ড।

এছাড়া ৩ নম্বর অ’ভিযোগে ঈশ্বরদীর অরণখোলা গ্রামে কয়েকজনকে অ’পহরণ ও আ’টকে রেখে নির্যা’তনের ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় সুবহানকে পাঁচ বছরের কারাদ’ণ্ড দেওয়া হয়।

প্রসিকিউশন ৫, ৮ ও ৯ নম্বর অ’ভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এসব অ’ভিযোগ থেকে সুবহানকে খালাস দেন আ’দালত।

সর্বশেষ

বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া সভাপতি ফারুকের প্রায় ১২০ কোটি টাকা ট্রান্সফার!

বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে বিশাল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে! ক্রিকেট বোর্ডের প্রায় ১২০ কোটি টাকার ফান্ড আওয়ামী ঘরানার দুই ইয়েলো...

২০০৯ এর বিডিআর বিদ্রোহ এবং ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতি

"২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় প্যারাশুট রেজিমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাটালিয়নের মেজর কমলদীপ সিং সান্ধু সেদিন "স্পিয়ারহেড" বা অগ্রগামী বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি...

কি ঘটেছিলো বিডিআর বিদ্রোহে! নেপথ্য কাহিনি

আলোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কাহিনি আজও অনুদ্ঘাটিত রয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও সেই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সত্য কেউ জানতে পারেনি। কীভাবে কার স্বার্থে এবং...

পিটিয়ে হত্যা: ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে ছাত্রদলের যে পাঁচজনকে দেখা গেছে তারা হলেন- সাঈদ হোসেন...