রাষ্টের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সরকারি ও আধাসরকারি চাকরিতে প্রচলিত শতকরা ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন বলে জানা গেছে। অ্যাটর্নি জেনারেলের অভিমত আজ সোমবার সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেওয়া হতে পারে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণে সুপ্রিম কোর্টের পৃথক দুটি রায়ের আলোকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ অভিমত দেন বলে জানা গেছে। মাহবুবে আলম গতকাল রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামীকাল (সোমবার) সরকারের কাছে (অভিমত) পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
সরকারি চাকরিতে বর্তমানে শতকরা ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা রয়েছে। এ ছাড়া জেলা কোটা, পোষ্য কোটা, নারী কোটা, উপজাতি কোটা পদ্ধতি চালু রয়েছে। এই কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে তাদের দাবি মেনে গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের প্রতি আলটিমেটাম দিয়েছে তারা। সরকার গত ২ জুলাই কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রিপরিষদসচিবকে প্রধান করে সাত সদস্যের কমিটি করে।
কমিটি কোটা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিষয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের অভিমত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। গত সপ্তাহে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে একটি চিঠি পাঠানোও হয়। জানা যায়, চিঠি পাওয়ার পর অ্যাটর্নি জেনারেল মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দুটি রায় পর্যালোচনা করেন। এরপর তাঁর মতামতের একটি খসড়া তৈরি করা হয়। গতকাল এই খসড়া চূড়ান্ত করা হয় বলে জানা গেছে। খাদ্য অধিদপ্তরে খাদ্য পরিদর্শক, উপপরিদর্শক ও সহকারী পরিদর্শক পদে চাকরির ক্ষেত্রে শতকরা ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ না করে অন্যদের চাকরি দেওয়ায় ২০১০ সালে গাজী মো. শফিকুলসহ সাতজন চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।