পেশায় তাঁরা কাঠমিস্ত্রী। নিয়মিত কাঠের কাজ করে যা আয় করেন, তাতেই চলে যায় সংসার।
কাঠমিস্ত্রীদের কাজের সাথে যুক্ত আরেক পেশার মানুষ । ভ্যানচালক। তাঁরা মূলত কাঠ আনা নেওয়া আর আসবাবপত্র মানুষের বাসায় বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করে থাকেন।
দেশে চলছে করোনা ভাইরাসের কারণে সাধারণ ছুটি। কাঠমিস্ত্রীদের কাজ কার্যত বন্ধ। এতে তাঁরা যেমন আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন, তেমনি সমস্যায় পড়েছেন তাদের কাজের সাথে যুক্ত ভ্যানচালকেরাও।
কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের আর্থিক সমস্যার কাথা কাউকে মুখ ফুটে বলতে পারছিলেন না তারা।
টেকসই উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো কাউকে পেছনে ফেলে রাখা যাবে না। সেই অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ নিজস্ব উদ্যোগে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় অসহায় এসব কাঠমিস্ত্রী ভ্যানচালকদের পাশে দাঁড়িয়েছে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ।
পটুয়াখালী পৌরসভা নিউমার্কেটের পাশে গড়ে ওঠা কাঠ ও ফার্নিচার মার্কেটের কাঠমিস্ত্রী ও ভ্যানচালকদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা সামগ্রী প্রদান করেছে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ।
পুরাতন আদালত মাঠে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে শতাধিক পরিবারের মধ্যে নিজেদের অর্থায়নে জেলা পুলিশ সহায়তা সামগ্রী বিতরণ করেছে।
মানবিক এ সহায়তা সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল ,আলু ,ডাল, পেঁয়াজ, লবণ ও ভোজ্য তেল।
দুর্দিনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য এসব কাঠমিস্ত্রী ও ভ্যানচালকগণ পুলিশের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এ ছাড়াও করোনা মোকাবেলায় তাঁরা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলবেন এবং যথাসম্ভব ঘরে থাকবেন বলেও জানান।