মেকআপম্যান ও সামগ্রী দেরিতে আসায় মুক্তি নিতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। মুক্তির কাগজপত্র দুপুর দেড়টার মধ্যে সম্পন্ন হলেও খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে বের হয়েছেন বিকাল সোয়া চারটায়। এই নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীরা ও কারা কর্মকর্তারাও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সকল আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার কথা গতকাল বিকেলেই ঘোষণা দেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি ফাইলপত্র পাঠিয়ে দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। আজ সকাল সাড়ে ১০ টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান খান কামাল সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষরের জন্যে। সকাল পৌনে এগারোটায় প্রধানমন্ত্রী ফাইলে সাক্ষর করে দিলে সোয়া এগারোটায় ফাইল চলে যায় কারা কর্তৃপক্ষের কাছে। ১২ টার মধ্যে সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে কারা কর্তৃপক্ষ বেগম খালেদা জিয়াকে দুপুর ১ টার মধ্যে মুক্ত করে দেন। কিন্তু বাদ সাধেন বেগম জিয়া। সেখানে উপস্থিত থাকা বেগম জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার, বোন সেলিমা ইসলাম এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলও ভ্যাবাচেকা খেয়ে যান।
এদিকে এই করোনার সময়, হাসপাতালের বাইরে নেতা-কর্মী ও মিডিয়ার ভিড়। সোশ্যাল মিডিয়াতে তখন চলছে ব্যপক সমালোচনা। তাই তারা তাড়াতাড়ি বেগম জিয়াকে গুলশানের বাসায় নিয়ে যেতে চাচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পরেই গৃহকর্মী ফাতেমা নিয়ে আসেন বেগম জিয়ার নিজস্ব মেকআপ আর্টিস্টকে। বিষয়টি বুঝতে পেরে পরে সবাই চুপসে যান। সবাই যখন বাইরে অপেক্ষমাণ ভেতরে তখন মেকআপ নিচ্ছিলেন বেগম জিয়া। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তিনি রুম থেকে বের হয়ে আসেন। মেকআপের কারণে বেগম জিয়া নিয়ম মেনে মাস্ক পড়তেও রাজি হননি।
উল্লেখ্য, নির্বাহী আদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ এর ১ ধারায় শর্ত সাপেক্ষে সাজা ছয় মাসের জন্যে স্থগিত করেন।