লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ
দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের এক প্রবাসীর স্ত্রী, ৩ সন্তানের জননী কে ফুসলিয়ে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে কথিত সাংবাদিক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
বর্তমানে সাইফুল ও ৩ সন্তানের জনক বলে জানাযায়।গত ১২ নভেম্বর (সোমবার) দিবাগত রাতে মেয়েটির ভাই নাজিম বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেছেন। যার ডায়েরী নং- ৫১৮। কথিত সাংবাদিক নিজেকে দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার লোহাগাড়া প্রতিনিধি ও লোহাগাড়া প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সাম্পাদক পরিচয় দিয়ে থাকেন বলে জানাযায়।
এ ব্যাপারে ভিকটিম এর ভাই নাজিম উদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ১১ নভেম্বর (রবিবার) আনুমানিক রাত ১১ টার দিকে আমার বোনের ভাসুর জাফর হঠাৎ আমাকে মুঠোফোনে জানান, আমার বোনকে বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে না। সাথেসাথে আমাদের সকল আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি।
আমার বোনের ৩টি সন্তান রয়েছে এসময় আমার ছোট ভাগীনি শিমরা ৩ কে ও নিয়ে যায়। সরেজমিনে গিয়ে জানাযায় লোহাগাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দরবেশহাট,আকবর পাড়ার মৃত ফরুখ আহমদের ছেলে কথিত সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম (৩৫ ) ঐ লম্পটের সাথে আমার বোনের দীর্ঘদিন ধরে পরকিয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠেন বলে গোপণ সূত্রে জানতে পারি।
ঘটনার পর থেকে কথিত সাংবাদিক সাইফুলের সাথে অনেক বার মোবাইলে যোগাযোগ করতে চাইলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায় বলে জানান তিনি। মুঠোফোন বন্ধের কারণে ‘খবর নিতে আমি আমার মামা তার বাড়িতে যায়।
এ সময় এক পর্যায়ে তার স্ত্রী হাজেরা বেগম আরজুর সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে একাদিক মেয়ের সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত আছেন। বিষয়টি নতুন কিছু নয়। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করেন। আমি আমার ৩ ছেলের মুখের দিকে থাকিয়ে ও সংসারের কথা ভেবে নীরবে সকল নির্যাতন সহ্য করে থাকি। বিভিন্ন মেয়ে নিয়ে কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার খবর ও শুনেছি বিভিন্ন জনের কাছে। আমি একাধিকবার বাঁধা দিলে আমাকে মারধর করে ও তালাক দেওয়ার হুমকি দেন। আমি আমার স্বামী লম্পট সাইফুলকে বিভিন্ন সময় অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত দেখে ঐ সব থেকে বিরত থাকতে নিজ থেকে ১টি অবিবাহিত মেয়ে বিয়ে করার প্রস্তাবও দিয়েছিলাম বলে জানান তিনি। আমার সংসারে ৩ জন ছেলে আছে। তাদের চেহারা ও সংসারের দিকে তাকিয়ে আমি আজো সহ্য করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন তার প্রদান টার্গেট ছিল প্রবাসীর স্ত্রী ও দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের উপর এক পর্যায়ে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন অশ্রু জড়িত কন্ঠে আরো বলেন, ঐ মেয়েটির সাথে পালিয়ে যাওয়ার আগে ওই মেয়েটির সাথে প্রায় রাতে মুঠোফোনে কথা বলতো। আমি নিষেধ করতাম বলেই পাষন্ড স্বামী আমা
কে বিভিন্ন সময় শারিরীক ভাবে নির্যাতন করতো বলে অভিযোগ করেন তিনি। গত পরশু ওই মেয়েটির সাথে পালিয়ে যাওয়ার আগমুহুর্তে মেয়েটির সাথে কথা বলতে বলতে ব্যাগে কাপড়-চোপড় ঢুকানের সময় আমি নিষেধ করলে আমাকে মারধর করে। সি.এন.জি চালককে ফোন দিয়ে তাড়াহুড়া করে বাসা থেকে বেরিয়ে যায় এখন পর্যন্ত কোন খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মুঠোফোন (০১৮১৮-২৪০০৫৮, ০১৮৪০-০৬৯৭০৬) বন্ধ থাকার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে লোহাগাড়া থানার সেকেন্ড অফিসার এস’আই আব্দুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন নিখোঁজ ভিকটিম এর বাবার বাড়ি ও শ্বশুর বাড়ি থেকে ২টি আলাদা আলাদা ভাবে নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরী করেছেন। তাদের উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে।
Leave a Comment