ভারতের আনন্দ বাজার পত্রিকার বরাদ দিয়ে ফরেস্ট অফিসার প্রবীণ কাসওয়ান লিখেছেন, এটা আসলে ওদেরই জায়গা। গাড়িঘোড়া কম চলায় এখন ওরা নির্ভয়ে হাঁটাহাঁটি করছে।
কোঝিকোড়: স্যোশ্যাল মিডিয়ায় মিম ঘুরছে, ২১দিন লকডাউন শেষ হলে দেখা যাবে, ডাইনোসর ফিরে এসেছে। ডাইনোসর যদি না ও আসে, করোনা লকডাউনের সৌজন্যে পরিবেশ যে অনেক দূষণমুক্ত হয়েছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। মানুষের প্রচন্ড প্রতাপে এতদিন লুকিয়ে থাকা জীবজন্তুগুলো সাহস পেয়ে ফিরে আসছে তাদের ছেড়ে যাওয়া জায়গায়। কেরলের কোঝিকোড়ে এমনই এক প্রাণীর দেখা মিলল।
বাংলায় আমরা যাকে বলে থাকি খাটাশ বা ভাম বিড়াল। কেরলে এই প্রাণী বিলুপ্ত প্রায়, সংখ্যায় ২৫০ শেরও কম বেচে আছে। তাদেরই একজনকে হাঁটতে দেখা গেল এখনকার শুনশান, দিন কয়েক আগের ও ব্যস্ত রাস্তায়। ফরেস্ট সার্ভিস অফিসার সুশান্ত নন্দ টুইট করে বলেছেন, মালা বারের এই বড় ফোঁটাযুক্ত ভাম বিড়াল কোঝিকোড়ে ১৯৯০ সালের পর থেকে দেখা যায়নি।
এখন কথা হচ্ছে, আমি আপনি মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য পৃথিবীর হাজারো বন্যপশু পাখি বা প্রাণী বা বনজঙ্গল দেদারসে যে যার মতো করে উজাড় করবেন। বন্য প্রাণীর আবাসস্থল ধবংস করবেন, তাদের মেরে ফেলবেন, তাদেরকে থাকার জায়গা দিবেন না। তাহলে পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা হবে কি করে? আজকের এই করোনা ভাইরাস আতঙ্ক এ তো আমি মনে করি পৃথিবীর প্রাণী কুলের অভিশাপ।
প্লিজ বন্ধুগণ আসুন আজ থেকে অঙ্গিকার করি বিনাকারণে বনজঙ্গল এবং প্রাণী নিধন করবোনা। প্রাণী নিধন বন্ধ না করতে পারলে বারবার বিভিন্ন ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে আমরা রক্ষা পাবো না।