চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও কৃতি সাংবাদিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। সম্মেলন উদ্বোধন করেন সমাজ বিজ্ঞানী ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডাঃ অনুপম সেন। তিনি আরো বলেন, আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে অনেক বছর ধরে আছি। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদিকরা গণমাধ্যম। সাংবাদিকরা না থাকলে সমাজে সাম্য, ভারসাম্য থাকতো না। ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নিষ্ঠুর বাস্তবতা, আন্দোলন সংগ্রামে বিভক্তি বিভাজন হয়। এ সুযোগ মালিকপক্ষ নেন।
চট্টগ্রামের সড়ক গুলো ভারী যানবাহন চলাচলের উপযোগী নয়। ১০ টনের উপযোগী সড়কে ৫০ টনের গাড়ি চললে না টেকার কথা। এ ধরনের বিষয় সাংবাদিকদের তুলে ধরতে হবে। গভীরে গিয়ে বাস্তবতার নিরিখে সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। নাগরিকদের মধ্যে দেশপ্রেম, মাটি ও মানুষকে ভালোবাসার বোধ তৈরি করতে হবে। মেয়র বলেন, সাধারণ মানুষকে দেশের সব কাজে সক্রিয় করতে হবে। বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে উজ্জীবিত করে মুক্তি যুদ্ধের পথে ধাবিত করেছিলেন৷ এখন দেশপ্রেম কাজ করে জাতীয় দিবসে। জনসম্পৃক্ততা বাড়লে সাফল্য আসবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল বলেন, দেশে দেয়ালের পর দেয়াল। জাতির একমাত্র ভরসা প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, এখন দেশে গণমাধ্যমের রমরমা অবস্থা, কিন্তু সাংবাদিকদের বেহাল অবস্থা। এতদিন ইউনিয়ন যে প্রক্রিয়ায় চলছে সেভাবে চললে হবে না। চাকরির নিরাপত্তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। ভাইরাসের মতো পেশাতে অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। সর্বজন গ্রহণ যোগ্য সিদ্ধান্তে আসতে হবে।চট্টগ্রামের কাছে আমি অনেক ভাবে ঋণী। যতদিন বেঁচে থাকবো চট্টগ্রামকে বুকে ধারণ করবো। চট্টগ্রামে ট্রেড ইউনিয়ন চর্চা হলেও ঢাকায় হয়নি। আমার কোনো চাওয়া নেই। আমরা দৃশ্যমান পরিবর্তন আনছি। আমি পিছিয়ে যাওয়ার লোক নই। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শাবান মাহমুদ বলেন, ফেসবুক আবিষ্কারক অনুশোচনা করেছেন, এটি আবিষ্কার ভুল ছিলো। ফেসবুকে সবকিছু লেখা ও শেয়ার করা উচিত নয়। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিক সমাজ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। নবম ওয়েজ বোর্ডে দুইটি পক্ষ। একটি সরকার, অন্যটি নোয়াব। সিইউজের সাধারণ সম্পাদক ওয়েজ বোর্ড নিয়ে মামলা করেছেন। তিনি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা ভালোবাসার বন্ধনে জড়াতে চাই। সিইউজের ইতিহাস, ঐতিহ্য, আভিজাত্য রয়েছে। অঞ্জন কুমার সেন সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে কিংবদন্তি। আবু সুফিয়ান সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করেছেন। অনেক প্রবীণ সাংবাদিক এখানে আছেন, যারা সাংবাদিকদের মর্যাদা রক্ষার সংগ্রামকে বেগবান করেছেন।সিইউজে সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামলের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএফইউজের সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।
এবার কৃতি সাংবাদিক হিসেবে সংবর্ধনা দেওয়া হয় মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক নওশের আলী খান এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজীকে। প্রদীপ দেওয়ানজীর হাতে সংবর্ধনা স্মারক তুলে দেন প্রধান অতিথি। সংবর্ধিত সাংবাদিকদের পরিচিতি পাঠ করেন যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ। সভা পরিচালনা করেন সিইউজে সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস।