সাভারে নীলা রায় নামে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মিজানুর রহমান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসানের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আসামি মিজানুর আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে মিজানুর স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার এসআই নির্মল চন্দ্র ঘোষ।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২৬ সেপ্টেম্বর আদালত আসামি মিজানুর রহমানের সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সাভারে পৌরসভার উলাইল এলাকা থেকে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছে থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়।
গত ২২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মানিকগঞ্জের আরিচাঘাট এলাকা থেকে ফেরি পারপারের সময় সেলিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার চারিগ্রাম থেকে মিজানুরের বাবা আবদুর রহমান (৬০) ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে নীলা রায় ও তার ভাই অলক রায়ের পথরোধ করে বখাটে মিজানুর রহমান।
তার ভাইয়ের কাছ থেকে নীলাকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে নিকটস্থ তার নিজ পরিত্যক্ত বাড়ির একটি কক্ষে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।
পরে রাতে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নীলাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরদিন গত ২১ সেপ্টেম্বর নীলার বাবা নারায়ণ রায় বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় মিজানুর রহমান। এ ছাড়া তার বাবা আব্দুর রহমান এবং মা নাজমুন নাহারসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।