অস্ত্র আইনে করা মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. শায়রুল ইসলাম সাক্ষ্য দেন।
মোট ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। এসময় আদালত আগামীকাল বুধবার ও পরের দিন বৃহস্পতিবার আসামির আত্মপক্ষ শুনানির দিন ধার্য করেন।
এদিকে গতকাল সোমবার সাহেদের বিরুদ্ধে পুলিশ পরিদর্শক তপন চন্দ্র শাহ, এএসআই রবিউল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম ও হাসান মাহমুদ সাক্ষ্য দেন।
গত রবিবার সাহেদের বিরুদ্ধে এডিসি বদরুজ্জামান, এসআই কবির হোসেন, জৈনক চান মিয়া ও নিজামুল সাক্ষ্য দেন। ওইদিন মামলার বাদী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক এস এম গাফফারুল আলমকে আসামি পক্ষের আইনজীবী জেরা করেন।
২৭ আগস্ট সাহেদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দিয়ে আদালত তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। পরে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। গত ১৯ আগস্ট মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত।
তার আগে ১৩ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম জুলফিকার হায়াত মামলার অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেন। এরপর মামলার নথি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করেন।
এর আগে ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. শায়রুল আসামি সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এ মামলায় গত ২৬ জুলাই তাঁকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর গত ১৯ জুলাই তাঁকে নিয়ে উত্তরায় অভিযানে যায় ডিবি পুলিশ।
সেখানে সাহেদের গাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়।