করোনাভাইরাসে সংক্রমণের আশঙ্কায় সোমবার (৩০ মার্চ) বাংলাদেশ ছাড়ছেন মার্কিন কূটনীতিক, তাদের পরিবার এবং নাগরিকদের একটি অংশ। একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়বেন তারা। এ বিষয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে মার্কিন দূতাবাস রোববার এক জরুরি ভিডিও ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে।
জানা যায়, চার্টার্ড ফ্লাইটটির কোনো আসন ফাঁকা নেই। তবে এর মধ্যে কতজন কূটনীতিক আর কতজন নাগরিক ফিরছেন বা এয়ারক্রাফটটিতে কতগুলো আসন রয়েছে বিষয়টি স্পষ্ট করেনি মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র।
মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র জানান, সব কিছু স্পষ্ট করা যাচ্ছে না তবে এটুকু বলি, যেসব কূটনীতিক যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাচ্ছেন তা একান্তই পরিবারের স্বার্থে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা ঢাকা ফিরবেন।
করোনাভাইরাসের কারণে শুধু বাংলাদেশ থেকেই নয়, মোট ২৮টি দেশ থেকে ১০ হাজার আমেরিকান দেশে ফিরেছেন বা ফিরছেন। এটা একান্তই যারা ফিরছেন (নাগরিকদের) তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে।
তিনি জানান, পুরো বিষয়টি ব্যবস্থা করছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট। তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন কাউকেই ফিরতে জোর করছে না।
ব্রিফ্রিংয়ে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতেও ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কার্যক্রম সচল রয়েছে। আমেরিকান নাগরিকদের জন্য কনস্যুলার সেবা পুরোপুরি চালু রয়েছে। তবে পরিস্থিতির কারণে সাধারণের ভিসা সার্ভিস বন্ধ রয়েছে।
এর আগে মার্কিন দূতাবাসের এক বার্তায় জানানো হয়, করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে ঢাকায় উদ্যোগ নিয়েছে তারা।
এ সময় যারা দেশে ফিরতে চান তাদের জন্য বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও ওই বার্তায় উল্লেখ করা হয়।
ওই বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা যারা নিজ দেশে ফিরতে আগ্রহী তাদের জন্য কাজ করছে দূতাবাস। তাদের জন্য একটি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে আগ্রহী আমেরিকানদের নাম, ঠিকানা এবং প্রয়োজনীয় তথ্যসহ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয় ওই বার্তায়।
জানা যায়, বেশির ভাগ রুটে ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে আগ্রহী আমেরিকানদের জন্য বিশেষ ফ্লাইটের বিষয়ে গত সপ্তাহে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চায় ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
এছাড়া গত সপ্তাহে থাই এয়ার ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করে দেয়ায় পশ্চিমা কয়েকজন নাগরিকের দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হলে সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক মিশন বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নজরে আনে।
শুরু থেকেই কূটনীতিকদের বিশেষ ফ্লাইটে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা দেয়ার কথা জানিয়ে আসছে সরকার।