করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও সংক্রমিত ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে একরকম যুদ্ধ করছেন ডা. নাজমা আক্তার। তিনি চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসক। আর এরমধ্যে তাঁকে সইতে হচ্ছে স্বামীর নির্মম নির্যাতন। বিয়ের চার বছর সংসার করলেও তাঁকে ঘরে তোলা হয়নি এখনো।
আর ঘরে তোলার কথা বললেই শুরু হয় মারধর। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ। মিথ্যা মামলাসহ এসডি মেরে প্রাণনাশের হুমকি। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত কচির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন ডা. নাজমা আক্তার নুর।
প্রথম আলো সমকাল মানবজমিন বিভিন্ন পত্রপত্রিকার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়
এ নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনও করেন তিনি।
যেখানে স্বামী ইয়াসিন আরাফাত কচির নানা ধরণের প্রতারণার শিকার হওয়ার তথ্য তুলে ধরেন স্ত্রী ডাক্তার নাজমা আক্তার।
ডা. নাজমা আক্তার বলেন, চার বছর আগে ইয়াসিন আরাফাত কচির সাথে প্রেমের বিয়ে হয় আমার। বিয়ের সময় তিনি বলেন, তিন মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পদ পাবেন তিনি। এরপর আমাকে ঘরে তুলে নিবেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পাওয়ার পর ঘরে তুলে নেওয়ার পরিবর্তে আমার উপর নির্যাতন শুরু করে কচি।
নাজমা আক্তার বলেন, এমন পরিস্থিতে আমার দুইবার বেবি কনসিভ হয়। কিন্তু জোরপূর্বক আমাকে বাচ্চা নষ্ট করতে বাধ্য করে কচি। বার বার বাচ্চা এ্যাবরশান করার ফলে আমার স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার কথা বললেও তিনি তা শুনেন নি। বরং বিয়ের কথা প্রকাশ করলে আমাকে ডিভোর্স দেওয়ার হুমকি দেন। ২০১৮ সালের ৫ জুন তিনি একবার ডিভোর্স দেন আমাকে।
এ ব্যাপারে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাইলে
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত কচি বলেন, ডা. নাজমা আক্তার আমার স্ত্রী ছিলেন। গত ৪ জুন তাকে আমি ডিভোর্স দিয়েছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে আমার মান-সম্মান ধুলোয় লুটাতে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করছে।
তবে প্রশ্নের জবাবে স্ত্রী হিসেবে চার বছর সংসার এবং তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরে না তোলার কথা স্বীকার করেন ইয়াসন আরাফাত কচি। তিনি বলেন, আমার মা ও পরিবারের উপর অত্যাচারের কারনে তাকে ডিভোর্স দেওয়া হয়েছে।