হঠাৎ উধাও হয়ে গেছেন মাদারীপুরের প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক ও নার্সরা

করোনাভাইরাস আতঙ্কে অধিকাংশ ক্লিনিকের সামনে টানিয়ে দেয়া হয়েছে রোগী না দেখার বিজ্ঞপ্তি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, চিকিৎসকদের পারসোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট-পিপিই না থাকায় তারা সাময়িক স্বাস্থ্যসেবা দেয়া বন্ধ রেখেছেন।
মাদারীপুরের অধিকাংশ প্রাইভেট ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী ও তার স্বজনদের ভিড়ে যেখানে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকতো না, সেখানে আজ শুধুই সুনসান নীরবতা।

রোগী দেখা অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ এমন বিজ্ঞপ্তিও টানিয়ে দেয়া হয়েছে অনেক ক্লিনিকে।

কোথাও বা রোগী দেখার চেম্বার রাখা হয়েছে তালা মেরে। এতে সেবা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনরা পড়েছেন চরম বিপাকে।

তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে আসছেন রোগীরা।

নিজেদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকায় চিকিৎসকদের আতঙ্কে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চিকিৎসকরা করোনা ভাইরাস আতঙ্কের এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।

মাদারীপুর জেলার সিভিল সার্জন ডা. সফিকুল ইসলাম জানান, প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।

মাদারীপুরে সাড়ে ১৩ লাখ মানুষের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল ও ৩টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাইরে গড়ে উঠেছে শতাধিক প্রাইভেট ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এসব স্বাস্থ্যদানকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন সহস্রাধিক চিকিৎসক ও নার্স।