সাম্প্রতিক শিরোনাম

১২০ সেকেন্ডে ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়া মেরে ফেলতে সক্ষম কাপড় তৈরি করেছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশি ফেব্রিক উৎপাদক প্রতিষ্ঠান Zaber and Zubair (Z&Z) Fabrics বাংলাদেশের সবথেকে বড় গার্মেন্টস রপ্তানিকারক নোমান গ্রুপের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। তারা একটি বিশেষ রকমের ফেব্রিক ডেভেলপ করেছে যেটাকে বলা হচ্ছে “Corona Block Fabric” যা তাদের দাবি অনুযায়ী করোনা ভাইরাস বা যেকোন ধরনের ভাইরাস মাত্র ১২০ সেকেন্ডের ভেতর মেরে ফেলতে সক্ষম।

কোম্পানি এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে সুইডিস পার্টনারের সাথে যৌথভাবে। এই বিশেষ কাপড়ের আবিস্কারের জন্য এটা এখন পিপিই, মাস্ক এবং গেঞ্জির ফেব্রিক হিসাবে ব্যাবহার করলে বিশাল বাজার ধরা সম্ভব হবে বাংলাদেশের।

কোম্পানির ভাষ্য অনুযায়ী সারা বিশ্ব এই ধরনের বিশেষ কাপড় তৈরির চেষ্টা করলেও বাংলাদেশ হচ্ছে প্রথম দেশ হিসাবে এই ধরনের ফেব্রিক উৎপাদন সফল করেছে।

Z&Z ইতোমধ্যে এই ফেব্রিকের নমুনা কোম্পানির সব গ্লোবাল পার্টনারদের কাছে পাঠিয়েছে। এবং সুসংবাদ হল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পার্টনারদের কাছ থেকে প্রচুর রেসপন্স পেয়েছে নোমান গ্রুপ। যেহেতু করোনা পরিস্থিতি এত সহজে দূর হচ্ছে না তাই বিদেশি ক্রেতাগণ এই ফেব্রিকের উপর বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে।

কোম্পানির ভাষ্যমতে দেশে ধুকতে থাকা ২০০০ গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি এই ফেব্রিকের মাধ্যমে আমার নতুন করে জেগে উঠতে পারে।

ফেব্রিকটি যথাযথ নিয়ম মেনে পরীক্ষা করে সফলতা পাওয়া গেছে এবং ISO 18184 এর নিয়ম মেনে রেগুলেটরি কাভারেজ নিশ্চিত হয়েছে।

সুখের কথা হল ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নের বিভিন্ন কমপ্লায়েন্স অথরিটি থেকে রেজিস্ট্রেশন পেয়েছে। আর নোমান গ্রুপ এর মধ্যে আমেরিকা এবং ইউরোপে এই মাসের প্রথম সপ্তাহ হতে এই কাপড় পাঠিয়ে আসছে।

প্রায় ১০০ এর অধিক বিদেশি ক্রেতার কাছ থেকে ভাল রেসপন্স পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের United Global Holdings ১৫ লক্ষ পিস এই ফেব্রিক দিয়ে তৈরি মাস্কের অর্ডার দিয়েছে যার মধ্যে ৫ লক্ষ মাস্ক এই ঈদের আগেই সাপ্লাই দেয়া হবে।

Z&Z বৃহৎ উৎপাদনে গেছে এবং আগামী মাস হতে ৭০ লক্ষ পিস তৈরি করবে তারা। ২০% বেশি দামে যে কেউ Blue Jens থেকে অনলাইনে অর্ডার করতে পারবে এই কাপড়। Blue Jens মূলত Z&Z এর অনলাইন প্লাটফর্ম। এই কাপড় ধুয়ে একাধিকবার ব্যাবহারযোগ্য এবং স্কিনের জন্য নিরাপদ।

আর পিপিই এর জন্য যেই ফেব্রিক সেটা সলভেন্ট এবং ফ্লুইড ১০০% পলেস্টারের কম্পোজিশন। ২০ বার ওয়াস করে ব্যাবহার যোগ্য।

সারা বিশ্বে এখন পিপিই এর চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। পিপিই এর জন্য নিরাপদ বার বার ব্যাবহার যোগ্য কাপড় তেমন নেই। এরকম সময়ে ভাল ভাবে মার্কেটিং করতে পারলে বাংলাদেশ বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারবে। সেই সাথে মাস্কে এই কাপড় ব্যাবহার করলে বিশাল বাজার ধরা সম্ভব।

লেখকঃ মোঃ নোমান।

সর্বশেষ

বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া সভাপতি ফারুকের প্রায় ১২০ কোটি টাকা ট্রান্সফার!

বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে বিশাল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে! ক্রিকেট বোর্ডের প্রায় ১২০ কোটি টাকার ফান্ড আওয়ামী ঘরানার দুই ইয়েলো...

২০০৯ এর বিডিআর বিদ্রোহ এবং ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতি

"২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় প্যারাশুট রেজিমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাটালিয়নের মেজর কমলদীপ সিং সান্ধু সেদিন "স্পিয়ারহেড" বা অগ্রগামী বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি...

কি ঘটেছিলো বিডিআর বিদ্রোহে! নেপথ্য কাহিনি

আলোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কাহিনি আজও অনুদ্ঘাটিত রয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও সেই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সত্য কেউ জানতে পারেনি। কীভাবে কার স্বার্থে এবং...

পিটিয়ে হত্যা: ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে ছাত্রদলের যে পাঁচজনকে দেখা গেছে তারা হলেন- সাঈদ হোসেন...