লকডাউনে সারা দেশে গণপরিবহন না চলায় বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে সড়ক ও নৌপরিবহনের প্রায় ৯০ লাখ শ্রমিক। বছরে এ খাতে কল্যাণ ফান্ডে হাজার কোটি টাকা চাঁদা আদায় হলেও, মহামারীর এমন সংকটে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে পাশে না পাওয়ার অভিযোগ শ্রমিকদের।
তবে মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর দাবি, তাদের একার পক্ষে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো কঠিন। এ খাতে সরকারি প্রণোদনা চাইলেন তারা।
কষ্টে চোখে পানি পরিবহন শ্রমিক রফিকের। নিজের আর পরিবারের খাবার জোগাড় করতে না পারার অসহায়ত্বের।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গেল মাসের ২৬ তারিখ থেকে সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ থাকায়, বন্ধ হয়ে আছে সড়ক পথের ৭০ ও নৌপথের ২০ লাখ শ্রমিকের রুটি-রুজি।
কিন্তু এমন দুর্দিনে মালিক সমিতি কিংবা শ্রমিক সংগঠন কাউকেই পাশে না পাওয়ার অভিযোগ বেকার শ্রমিকদের। এমনকি শ্রমিক কল্যাণের নামে দেয়া চাঁদার অর্থও না পাওয়ার ক্ষোভ।
কল্যাণ ফান্ডের অর্থ নিয়ে কোথাও কোথাও অনিয়ম হওয়ার কথা স্বীকার করেন শাজাহান খান।
শাজাহান খান বলেন, কোনো কোনো জায়গায় এ ব্যত্যয় ঘটেছে। তবে অধিকাংশ জায়গায় এ কল্যাণ তহবিলের টাকাই যাচ্ছে। কল্যাণ তহবিলের টাকাটা কিন্ত সবই থাকে না। কারণ যেসব শ্রমিক মৃত্যুবরণ করে, অ্যাক্সিডেন্ট করে, তাদের পরিবারের জন্য এসব দেয়া হয়।
এদিকে, নৌশ্রমিকদের খাবার সরবরাহ ও আর্থিক সহায়তা দিতে লঞ্চ মালিকদের নিয়ে সভা করার কথা জানান নৌপরিবহন মন্ত্রী।
নৌপরিবহন মন্ত্রী বলেন, ঘাটে থাকা শ্রমিকদের ১০ দিনের খাবার দেয়া হয়েছে। এছাড়া লঞ্চ মালিকদের সাথে সভা হয়েছে, তারা ব্যবস্থা নিবে।
করোনায় লকডাউনের কারণে মোট পরিবহন ব্যবস্থার মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ কাজ করছে। নজিরবিহীন এ পরিবহন সংকটে প্রতিদিন ৫শ’ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি পরিবহন সংশ্লিষ্টদের।