মোঃইয়াসিন,সাভার: চলমান করোনার ভয়াবহ বিস্তার আতঙ্কের মাঝেও সাভারে,আশুলিয়ায় শতাধিক পোশাক কারখানা চালু করা হয়েছে।
রোববার(২৬এপ্রিল)পরিবহন সংকট থাকা সত্বেও ঝুকি নিয়ে পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা কাজে এসেছেন। এর ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে মরনঘাতি করোনা ভাইরাস।
এ মতাবস্থায় কারখানা খুলে দেয়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়েই শ্রমিকরা যোগ দিয়েছেন তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে।
করোনা ভাইরাস সংক্রামন রোধে দীর্ঘ একমাস বন্ধ থাকার পর রবিবার সাভার ও আশুলিয়ার কিছু গার্মেন্টস খুলে দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর রোববার সকাল থেকে সামাজিক ও পারস্পরিক দুরুত্ব বজায় না রেখেই শ্রমিকরা দলে দলে কারখানায় প্রবেশ করে উৎপাদন কাজ শুরু করেছে।
বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা দাবি করেন, করোনা ভাইরাসের মধ্যে গার্মেন্টস কারখানা খুলে দেওয়ায় সকলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। এই আশঙ্কা থেকেই তারা কারখানায় যাওয়া শুরু করেছেন। এদিকে মালিকপক্ষের দাবি নিরাপদ দুরত্ব নিশ্চিত করেই তারা কারখানা খুলে দিয়েছেন।
শিল্প পুলিশে নিয়োজিত এক কর্মকর্তা জানায়, সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে ১হাজার আটশত গামের্ন্টসের মধ্যে ১৩০ টি গার্মেন্টস খোলা হয়েছে,তবে সংক্রামনের ঝুকির কারনে শ্রমিক উপস্থিতি ছিল কম। আবার অধিকাংশ গামের্ন্টস এখনো রয়েছে বন্ধ্। এ সমস্ত কারখানার কিছু শ্রমিকরা এসে গেটে তালা ও বন্ধের নোটিস দেখে চলে গেছে।
শিল্প পুলিশের এসপি সানা শামিমুর রহমান জানান, পিপিই তৈরীসহ জরুরী শিপমেন্ট থাকায় ১৩০টি কারখানা ছাড়া বাকী সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে ।
এদিকে ঢাকা ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মোহাম্মদ আব্দুল সোবহান জানান, আশুলিয়াস্থ ঢাকা ইউপিজেডের ১’শ টি গামের্ন্টস এর মধ্যে খোলা রয়েছে ৫০টি তবে শ্রমিক উপস্থিতি ২০ ভাগ ।
শ্রমিকদের অবাধ চলাফেরা ও ঝুকি নিয়ে তাদের কর্মস্থলে যোগদানে শ্রমিক অধ্যাষিত এলাকার বাসিন্দারা রয়েছে সংকায়।করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কারখানা মালিক পক্ষকে আরো সংবেদনশীল হওয়ার আহ্বান জানান সুশীল সমাজ।