বাংলাদেশ নিয়ে জাতিসংঘের আরেকটি বার্তা হলো দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। নয়তো মহাবিপদ আসন্ন হতে পারে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয় বাংলাদেশের মানুষ অসচেতন। সরকার পদক্ষেপ নিয়েও মহামারি ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেক বেশি। আর মহামারি ছড়ালে তা সরকারের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাবে বলে সতর্ক করা হয়।
এছাড়াও সরকারের গৃহিত কর্মকান্ডের প্রশংসা করে বলা হয় সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা যথাযথ। মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে লকডাউন করা হয়নি দরিদ্রদের কথা ভেবে কিন্তু আসলেই লকডাউনে আছে বাংলাদেশ। কিন্তু সরকার জনগনকে করোনা সম্পর্কে বুঝাতে অনেকটা ব্যার্থ কিংবা জনগন নিজ থেকে অসতর্ক বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি এমন একটি প্রাণঘাতী রোগ যা আমাদের সাড়া দেওয়ার গতির চেয়ে বেশি গতিতে সংক্রমিত হয়। ৭৭০ কোটি জনগোষ্ঠীর এই বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারি সংক্রমণের হার উচ্চ ও আন্তর্জাতিকভাবে ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে। বাংলাদেশে ব্যাপক মাত্রায় জনঘনত্ব বিবেচনা করে বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত পন্থা অবলম্বন করে ধারণা করা যায়, প্রতিরোধমূলক উদ্যোগ নেওয়া না হলে মহামারির প্রভাবে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।
জাতিসংঘ তথ্যকেন্দ্র আরো জানায়, ‘এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া রোধ করার জন্য অতি দ্রুত কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে তা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই আমরা সবাইকে প্রতিরোধমূলক সব ব্যবস্থা মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। এর ফলে, সরকার ও জাতিসংঘের সংস্থা, নাগরিক সমাজ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দেশব্যাপী স্বাস্থ্যব্যবস্থা আরো জোরদার করার জন্য বেশ কিছুটা সময় পাবে এবং তার ফলে বাংলাদেশ সরকারকে এই মহামারি মোকাবেলা করতে সহযোগিতা করতে পারবে।’