শুভেচ্ছা বিনিময়ে করে পরিচয় দিয়ে, স্যার, আপনি কোথায়? ইউএনওর জবাব, আমি তো উপজেলায়ই আছি।
দুপুর ২টা ৩২ মিনিটে মোবাইল ফোনে আবার বলা হয়, ফেসবুক তো বলছে আপনি পিকনিকে গেছেন, নাসিরনগরে।
এমন কথায় একটু ভ্যাবাচেকা খেলেন ইউএনও। কে ফেসবুকে দিল, কিভাবে দিল- নিচু গলায় ইত্যাদি প্রশ্ন ইউএনওর।
টিমে ৩০ জন সদস্য, ঘোরাঘুরি করেছেন, খাওয়াদাওয়ারও আয়োজ সেখানে- এমন প্রশ্নে বিচলিত ইউএনওর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তবে কি চলে এসেছেন? তখন তিনি বললেন, না, এইতো এখনই আমরা চলে আসব।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম ইয়াসির আরাফাত প্রশাসনে কর্মরত ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শুক্রবার সকালে গেছেন পিকনিকে। স্থান নাসিরনগরের হরিপুর জমিদারবাড়ি।
৩০ জনের একটি দল নিয়ে নৌকায় করে তিনি সেখানে যান। জমিদারবাড়িসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন তাঁরা। তবে ছবি তোলা ও ফেসবুক পোস্টসহ অন্যান্য বিষয়ে তাঁরা বেশ সতর্ক ছিলেন। কিন্তু অন্য একটি পিকনিক টিম লাইভে বিজয়নগরের ইউএনওসহ প্রশাসনের লোকজন এসেছেন বলে জানায়।
ওই টিম ইউওনওর ছবি দেখানো হলে বিষয়টি জানাজানি হতে শুরু করে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, করোনাকালীন অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করছে সারা বিশ্বে। এ সময় পিকনিক করা অনুচিত। আমি এটাকে সমর্থন করি না।
আর পিকনিকে গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানাটাও সম্ভব না। প্রশাসনের পিকনিক সম্পর্কে তিনি অবগত নন বলেও জানান।
এ ধরনের ট্যুর করা অন্তত দায়িত্বশীলদের বেলায় ঠিক হলো কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কালের কণ্ঠকে ইউএনও বলেন, এটা এমন কিছু না।
একটা কাজ থাকায় এসেছি। আবার চলে আসছি। এটা নিয়ে কিছু করতে যাবেন না।