দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ট্রেক নেওয়ার জন্য কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে এবং ৩ কোটি টাকা জামানত দিতে হবে। আর নতুন ট্রেক ইস্যু করার ক্ষেত্রে ১০ লাখ টাকা আবেদন ফি ও ২ কোটি টাকা নিবন্ধন ফি ঠিক করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
আজ বৃহস্পতিবার ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সূত্র মতে, ডিএসই শেয়ার ও ইউনিট কেনা-বেচা করার জন্য ২ কোটি ১০ লাখ টাকায় ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক) বিক্রি করতে চায়।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর এক কর্মকর্তা শেয়ারবাজার নিউজকে জানান, আজকের বোর্ড সবাই ২ কোটি ১০ লাখ টাকায় ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক) বিক্রি ও ট্রেক নেওয়ার জন্য কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন এবং ৩ কোটি টাকা জামানত নেয়়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া নতুন ট্রেক ইস্যু করার ক্ষেত্রে ১০ লাখ টাকা আবেদন ফি ও ২ কোটি টাকা নিবন্ধন ফি ঠিক করা হয়েছে। এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী আগামি ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে প্রস্তাব আকারে পাঠানো হবে।
এর আগে গত ২৫ মার্চ ডিএসইর সম্মতি নিয়ে ট্রেক সংক্রান্ত খসড়া বিধিমালা প্রকাশ করেছিল বিএসইসি। এতে ট্রেক পেতে ৫ লাখ টাকা নিবন্ধন ফি ও ১ লাখ টাকা আবেদন ফি নির্ধারন করা হয়েছিল। এছাড়া কমপক্ষে ৩ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন ও ২ কোটি টাকা জামানতের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।
প্রকাশিত খসড়ার ১ লাখ টাকার আবেদন ফি ও ৫ লাখ টাকা নিবন্ধন ফির পরিমাণ অনেক কম হয়েছিল বলে প্রশ্ন তোলা হয়। তাদের মতে, সর্বশেষ ২০১৩ সালে ডিএসইর একটি মেম্বারশীপ বিক্রি করা হয়েছে ৩২ কোটি টাকার উপরে। এছাড়া স্ট্যাটেজিক ইনভেস্টরদের কাছে ২৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রির দর হিসাবে একটি ব্রোকারেজ হাউজের দাম হয় ১৫ কোটি। সেখানে ৬ লাখ টাকায় ট্রেক ইস্যু করা হবে। এটা কিভাবে সম্ভব? তাহলে বর্তমান মেম্বারশীপের ভ্যালু কোথায় নেমে আসবে।
ওই দাবির আলোকে এবং সরকার ঘোষিত ছুটির কারনে ট্রেক বিধিমালা খসড়ার গেজেটে প্রকাশ করতে না পারা ও জনমত জরীপের সময় পার হয়ে যাওয়ায় গত ২৯ এপ্রিল ৭২৫তম নিয়মিত কমিশন সভায় জনমত যাছাইয়ে নতুন করে সময়সীমা নির্ধারন করার সিদ্ধান্ত নেয় বিগত কমিশন।
এদিকে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনের ১৬ এর ৫ ধারায় বলা হয়েছে, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের তারিখ হইতে ৫ বছর অতিক্রান্ত হবার পরে স্টক এক্সচেঞ্জ নির্ধারিত পদ্ধতিতে আবেদনকারীর অনুকূলে ট্রেক ইস্যু করা যাইবে। কিন্তু ডিএসই ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর ডিমিউচ্যুয়ালাইজড হওয়ার পরে প্রায় সাড়ে ৬ বছর পার হয়ে গেলেও স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে ট্রেক ইস্যু করার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তবে বিএসইসি ডিএসইর পর্ষদের সম্মতি নিয়ে ট্রেক ইস্যুর লক্ষ্যে জনমত যাচাইয়ের জন্য খসড়া বিধিমালা প্রকাশ করেছিল। এতে ডিএসইর পর্ষদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সম্মতি ছিল।
উল্লেখ্য, কোম্পানি, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা কমিশনের অনুমোদিত কোন প্রতিষ্ঠান স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেক কিনতে পারবেন। গ্রাহকদের পক্ষে শেয়ার বেচা-কেনা করে দেওয়ার ব্যবসা করতে এই ট্রেক পাওয়া যাবে। তবে এই ট্রেকের মালিক স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ারহোল্ডার হবেন না। শুধুমাত্র শেয়ার ও ইউনিট বেচা-কেনা করার সুযোগ পাবেন। কোন প্রতিষ্ঠান ট্রেক পেলে তা হস্তান্তর করা যাবে না। আবার নিবন্ধন পাওয়ার এক বছরের মধ্যে সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা ২০০০ অনুযায়ী স্টক-ডিলার বা স্টক-ব্রোকার’র সনদ নিতে হবে। এই সনদ নেয়ার ৬ মাসের মধ্যে ব্যবসা শুরু করতে না পারলে ট্রেক বাতিল হয়ে যাবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment