বড় করে উদযাপন হতে পারতো। বাধ ভাঙা। কিন্তু করোনার কারণে সুরক্ষা নীতি মেনে করতে হলো উদযাপন। তারপরও কোলাকুলি করলেন জেসন হোল্ডাররা। করোনার থাবা এড়িয়ে এটাই প্রথম টেস্ট। সেই অর্থে এটা নিশ্চিতভাবে ঐতিহাসিক ম্যাচ। সেটাকে আরও ঐতিহাসিক করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইংল্যান্ডকে সাউদাম্পটন টেস্টের শেষ দিন হারাল ৪ উইকেটে। বিশ বছর পরে ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বৃষ্টির কারণে প্রথম দিন বেশি ওভারের খেলা মাঠে গড়ায়নি। তবে দ্বিতীয় দিনই বিশেষ কিছুর আভাস দেয় ক্যাবিরীয়রা। টস জিতে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে অলআউট করে দেয় মাত্র ২০৪ রানে। বৃষ্টি ভেজা উইকেটে ব্যাটিং নেওয়াই হয়তো কাল হয়েছিল বেন স্টোকসের। তবে অসাধারণ বোলিং করেছেন জেসন হোল্ডার ও শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। উইন্ডিজ অধিনায়ক তুলে নেন ৬ উইকেট। বাকি চারটি যায় গ্যাব্রিয়েলের পকেটে। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন বেন স্টোকস।
তাদের আক্ষেপ থাকতে পারে ঐতিহাসিক এই টেস্ট জয়টা তাদের উদযাপন করতে হলো নিয়মের বেড়া-জালে। দর্শক শূন্য মাঠে। কিন্তু স্টেডিয়ামে খোলা থাকলেও যত দর্শক মাঠে যেত এই টেস্ট দেখেছে তার চেয়ে বেশি দর্শক। টিভি পর্দায় সাক্ষী হয়েছেন জেসন হোল্ডার-ব্লাকউডদের এই ঐতিহাসিক জয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলিংয়ের পর প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়েও ভালো শুরু করে। তারা প্রথম ইনিংস থেকে তোলে ৩১৪ রান। লিড নেয় ১১৪ রানের। প্রথম ইনিংস থেকে পাওয়া ওই লিডই তাদের ম্যাচ জিতিয়েছে। সফরকারীদের হয়ে প্রথম ইনিংসে কার্লোস ব্রাথওয়েট করেন ৬৫ রান। এছাড়া শেন ডউরিচের ব্যাট থেকে আসে ৬১ রান। ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস চারটি ও জেমস অ্যান্ডারসন তিন উইকেট দখল করেন।
কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসেই ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। তোলে ৩১৩ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসের ১১৪ শোধ দিয়ে লিড নেয় ১৯৯ রানের। ইতিহাস ছুঁতে ব্রাথওয়েট-ব্লাকউডদের লক্ষ্য দাঁড়ায় দুইশ’ রান। টেস্টের পঞ্চম দিনে এই রান তোলা কোথাও সহজ নয়। সেটা আরও কঠিন করে তোলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ‘ঘরের শত্রু’ জোফরা আর্চার। মাত্র ৭ রানে ২ উইকেট তুলে নেন ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান। ক্যারিবীয়রা ২৭ রানে হারায় ৩ উইকেট। মধ্যে আবার ওপেনার জোহান ক্যাম্পবেল রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে যান।
কিন্তু একজন পড়ে ছিলেন উইকেটে। তিনি জার্মেইন ব্লাকউড। ইংল্যান্ড বোলারদের চোখে চোখে রেখে খেলেছেন ৯৫ রানের ইনিংস। জয় এবং ব্লাকউডের সেঞ্চুরি যখন সময়ের ব্যাপার তখনই স্টোকসের বলে ফিরে যান তিনি। শেষ পথটা পাড়ি দেন হোল্ডার। টেস্ট জিতে আলিঙ্গনে বাঁধেন ক্যাম্পবেলকে। সাউদাম্পটন টেস্ট হেরে একটা বাজে রেকর্ডের অংশ হয়ে গেছেন বেন স্টোকস। ২০০৩ সালের পরে নেতৃত্বের অভিষেক টেস্টে হার দেখলেন তিনি।