বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বেশ কড়া অবস্থানে ইউরোপিয়ান ফুটবল। সেটি আমলে নিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করলে যদি আলভারো দোষী প্রমাণিত হন তাহলে বিচারের মুখে পড়তে হবে তাকেও। সেক্ষেত্রে হয়তো ফ্রেঞ্চ লিগ থেকেও নিষিদ্ধ হতে পারেন তিনি। যদিও নেইমারের অভিযোগের পরপরই সেটি অস্বীকার করেছেন আলভারো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, বর্ণবাদের কোনো স্থান নেই।
দিনের পর দিন, বছরের পর বছর আমি সবধরণের মানুষের সঙ্গে মিশেছি। তবে তোমাকে আমি পছন্দ করিনা। তুমি মানুষ হিসেবে ভালো নও। পিএসজির লিওনার্দো পারেদেস ও দারিও বেনদেত্তোর ফাউলকে কেন্দ্র করে। এ নিয়ে বিতর্কে জড়ান মার্শেইয়ের জর্ডান অ্যামেভি-ল্যাভিন কুরজায়ারা। পরবর্তীতে জড়িয়ে পড়েন অন্যরাও। তবে ঝামেলাটা বড় হয় পিএসজি ফরোয়ার্ড নেইমার এবং মার্শেইয়ের ডিফেন্ডার আলভারো গঞ্জালেসকে ঘিরে। আলভারোকে থাপ্পড় মেরে বসেন নেইমার। পরে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সহায়তায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় নেইমারকে লাল কার্ড দেন রেফারি।
ম্যাচ শেষে নেইমার দাবি করেন, বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন তিনি। আলভারো গঞ্জালেস নাকি তাকে গালি দিয়েছেন ‘বানরমুখো’ বলে। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেইমার লিখেন, ওই রেসিস্টের গালে কেন তিনি চড় মারেননি সেজন্যে তার আফসোস হচ্ছে!
এদিকে জানা যায়, অলিম্পিক মার্শেইয়ের ডিফেন্ডার আলভারো গঞ্জালেসকে থাপ্পড় মারার দায়ে ৭ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন পিএসজি তারকা নেইমার। লিগ ওয়ানের নিয়মানুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তিই পেতে পারেন তিনি। ফরাসি গণমাধ্যমগুলো বলছে এমনটাই। ম্যাচ চলাকালীন কেউ যদি শারীরিকভাবে আঘাত করে, তাহলে প্রতিপক্ষ ইনজুরি আক্রান্ত না হলেও, আঘাতকারীকে ৭ ম্যাচে নিষিদ্ধ করা হবে। যেহেতু লালকার্ডের কারণে এরইমধ্যে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন নেইমার, সে হিসেবে অ্যাপেক্স কমিটি তাকে আরো ৬ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করতে পারে।
তবে নেইমারের আনা অভিযোগ অনুযায়ী, আলভারোর বিপক্ষে বর্ণবাদের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সেক্ষেত্রে শাস্তি কমতে পারে ব্রাজিলিয়ান তারকার।