পরপর দুই টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানে বাংলাদেশের ব্যাটিং এপ্রোচ নিয়ে সমালোচনার কম হয়নি। এবার তার সাথে যোগ দিলেন পাকিস্তান সফরে না যাওয়া টাইগার ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি। তার মতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ভী’ত অবস্হা কাজ করছে। আর তাদের মধ্যে রানের ইচ্ছে কিংবা ক্ষুধা কোনটাই দেখছেন না তিনি।
আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ম্যাকেঞ্জি এ নিয়ে বলেন, ‘এই মুহূর্তে দলে অভিজ্ঞতার অভাব নেই। প্রথম দিনের ব্যাটিংই হতা’শ করতে শুরু করেছে। ক্রিকেটারদের ভালো করার ইচ্ছার অভাব খুব হতা’শ করেছে। ক’বছর ধরে ক্রিকেটারদের স্ট্রাইক রোটেড করে খেলা, বোলারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা ইত্যদি বিষয় নিয়ে কাজ করেছি। কিন্তু টি-২০ তে ক্রিকেটারদের সেটা প্রয়োগের কোন চেষ্টা চোখে পড়ছে না।’
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই ব্যাটসম্যানের মতে, ‘ইচ্ছার সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের ভালো করার ক্ষুধা আছে বলেও মনে হচ্ছে। ডমিঙ্গোসহ অন্য সবাই ক্রিকেটারদের ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার কথা বলছেন। দলের অনেকে নতুন, কারো জন্য দলে ফেরার ল’ড়াই। আমরা বুঝি তাদের মধ্যে চাপ আছে। কিন্তু কোচ-নির্বাচকরা তাদের অভয় দিচ্ছেন। মাঠে গিয়ে ঠিকমতো প্রয়োগ করার কথা বলছেন। সেটাই তারা পারছে না।’
পাকিস্তান সফরে দলের ব্যাটিং অর্ডার নিয়েও কথা বলেন ম্যাকেঞ্জি, ‘নতুন কোচ হিসেবে রাসেল ডমিঙ্গো বিভিন্ন কম্বিনেশনে দল সাজিয়ে পরীক্ষা করছেন। দলে এখন এক, দুই কিংবা তিনে ব্যাট করার ব্যাটসম্যান বেশি। কিন্তু চার কিংবা পাঁচ-ছয়ে ব্যাট করতে আলাদা কোয়ালিটির ক্রিকেটার দরকার। কারণ তাদের মাউন্ড সেট ভিন্ন হতে হয়। উইকেটে গিয়েই রান তুলতে হয়।’
ম্যাকেঞ্জি দলের ক্রিকেটারদের প্রতিভা নিয়ে জানান, প্রতিভার অভাব নেই এই দলে। তাদের দলের জন্য স্বার্থপর হতে বললেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান। দলকে ম্যাচ জেতাতে স্বার্থপরতা করতে বললেন।
তার মতে, ‘ক্রিকেটারদের মধ্যে ধারাবাহিক হওয়ার ক্ষুধা নেই। তারা সবসময় পরের ম্যাচ খেলার চিন্তা করে। সেজন্য ৪০-৬০ রান করার মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামে। কিন্তু এটা তো ভুল মানসিকতা। আমি তাদের বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান বানাতে চাই। বাংলাদেশের সেরা করতে চাই। আমি সেভাবেই উন্নতির চেষ্টা করছি। কিন্তু তাদের পারফরম্যান্স হ’তাশাজনক।’
তামিমের ব্যাটিং নিয়ে নীল ম্যাকেঞ্জি তার মতামতে বলেন, ‘আমারও মনে হয় তামিম ধীরে খেলেছে। কিন্তু সে ক’টা ইনজুরি থেকে এসেছে। আরও কিছু স’মস্যার মধ্যে ছিল সে। তামিম বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান। সবাই জানে সে কি করতে পারে। আমার কাছে মনে হয়, দুই ম্যাচে রান পাওয়াটাই তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তামিম এখন আত্মবিশ্বাস পেয়েছে। এখন তাকে ৫৫ বলে ষাটের ঘরের রানটা আশির কোটায় নিয়ে যেতে হবে।