করোনা প্রত্যেকের জীবন থেকেই কিছু না কিছু কেড়ে নিয়েছে। এবার করোনা আবহে সংবাদ শিরোনামে দৃষ্টিহীন ক্রিকেটারের জীনব সংগ্রামের গল্প।
কোভিড সংকটের সময়ে পাঁচ জনের সংসার চালাতে ভারতের আমেদাবাদের জামালপুর মার্কেটে বসে সবজি বিক্রি করছেন ভারতের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার।
ফাইনালে ৪০ ওভারে ৩০৮ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে ম্যাচ জিতেছিল ভারত। সেই দলেই নীল জার্সিতে খেলেছিলেন নরেশ তুম্বার।
ভারতের হয়ে জয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তুম্বার। দেশে ফেরার পর আমেদাবাদের এই দৃষ্টিহীন ক্রিকেটারকে একাধিক অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা জানানো হয়েছিল।
দুইবছর আগে দৃষ্টিহীন বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিলেন তিনি।
জার্সিতে বিশ্বকাপ জিতলেও দৃষ্টিহীন ক্রিকেটারের আর্থিক পরিস্থিতি কিন্তু কোনওভাবেই পাল্টায়নি। সেই কারণে বিশ্বকাপ জেতা ক্রিকেটারকে এখন আমেদাবাদের জামালপুর বাজারে বসে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে।
প্রবল অর্থাভাবের কারণেই সবজি বিক্রির পথ বেছে নিয়েছেন বলে বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার জানিয়েছেন। ২৯ বছর বয়সি নরেশের গলায় এই নিয়ে আক্ষেপের সুর। বিশ্বকাপ জিতলেও কোনও চাকরি পাননি বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
আক্ষেপ মহেন্দ্র সিং ধোনিরা বিশ্বকাপ জিতলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার আর্থিক পুরস্কার দেয়, কিন্তু দৃষ্টিহীন ক্রিকেটারদের জন্য কিছুই করা হয়নি।
করোনাকালে বাঁচার জন্য লড়তে অন্তত একটা চাকরি চাইছেন বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটার।