ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছেন বিশ্বসেরা আলরাউন্ডার ও বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টিয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ভারত সফরে যাওয়ার আগের দিন এ নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়লেন সাকিব। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কোনো ধরনের ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না সাকিব আল হাসান।
ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ গোপন করায় সাকিব আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে পারেন তা অনুমিতই ছিল। তবে, ঠিক ভারত সফরের আহ মুহূর্তে এ ঘোষণা এল।
২০১৭ সালে একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচের আগে এক ক্রিকেট জুয়াড়ির কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। সে প্রস্তাবে রাজি না হলেও নিয়মানুযায়ী আইসিসির দুর্নীতি দমন সংস্থা-আকসুকে খবরটি জানাননি সাকিব। তবে, ওই জুয়াড়ির কল ট্র্যাকিং করে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে কিছুদিন আগে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে কথা বলে আকসুর প্রতিনিধি দল। সেখানে স
াকিবও বিষয়টি স্বীকার করেন।
ভারত সফরের ঠিক আগ মুহূর্তে ক্রিকেটারদের আন্দোলন। ভারত সফরের আগে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তামিমের সরে যাওয়া। বিসিবি থেকে সাকিব আল হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ। নানা বিষয় নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল ক্রিকেটপাড়া। এই সফরে সাকিবের যাওয়া না যাওয়া নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে ঠিক তখন দেশের ক্রিকেট ভক্তদের জন্য এসেছে নতুন দুঃসংবাদ।
সাকিবের ব্যাপারে অন্যদের চেয়ে বেশি কঠোর আইসিসি কারণ তিনি এ বিষয়ে ২৫টিরও বেশি প্রশিক্ষণে অংশ নেন। এদিকে, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বলছে সাকিব চাইলে সহযোগিতায় প্রস্তুত আছে তারা।