ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের নকআউটে এক একটা ম্যাচ উত্তেজনার একেক রং ছড়াচ্ছে। বাকু অলিম্পিক স্টেডিয়ামে চেক রিপাবলিক আর ডেনমার্কের লড়াইয়েও তার ব্যত্যয় হলো না।
হাড্ডাহাড্ডি এক ম্যাচ উপভোগ করলেন ফুটবলপ্রেমীরা। যে ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াইয়ের পর শেষ হাসি হাসল ডেনমার্ক। চেক রিপাবলিককে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে নাম লিখিয়েছে ড্যানিশরা।
প্রথমার্ধেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে উঠে ম্যাচ। যদিও ডেনমার্কের আক্রমণগুলো ছিল বেশি গোছানো। ফল পেতে সময় লাগেনি একদম।
৫ মিনিটের মাথায় ডানদিক থেকে নেয়া স্ট্রাইগার লারসেনের কর্নার থেকে বল বক্সের মাঝ বরাবর পেয়ে নিচু হেডে ডেনমার্ককে এগিয়ে দেন থমাস ডেলানি (১-০)।
শনিবার শেষ আটের ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুদল আজারবাইজানের বাকু অলিম্পিক স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরুটা দারুণ করে ডেনমার্ক। ম্যাচের মাত্র পঞ্চম মিনিটে চেকরা কিছু বুঝে ওঠার আগে গোল দিয়ে বসে দলটি। বিতর্কিত এক কর্নার থেকে জেন স্টারগের লারসেন শট নিলে আনমার্ক অবস্থায় থাকা টমাস ডেলানি হেডের মাধ্যমে গোল দিয়ে দলকে এগিয়ে দেন।
নিজের জোড়া গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন ডেলানি ১৬তম মিনিটে। লারসেনের ক্রস থেকে এবারও আনমার্ক হয়ে ছিলেন এই মিডফিল্ডার। তিনি গোলের জন্য শট করেছিলেন। তবে বল বাউন্স করে জালের থেকে বেশ বাইরে দিয়ে চলে যায়।
অবশ্য ২২তম মিনিটে পিটার স্মাইকেলের ভুলে গোল হজম করতে বসেছিল ডেনমার্ক। তার পাস চলে যায় প্রতিপক্ষের জোসেফ মাসোপুটসের কাছে। সেখান থেকে চেক এই ফুটবলার ড্রিফট করে হোলেসের কাছে দূরের পোস্টে পাঠান। তবে হোলেসের শট স্মাইকেলই আটকে দিয়ে দলকে উদ্ধার করেন।
ডেনিশরা প্রথমার্ধের শেষদিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে।
জোয়াকিম মায়েহলের ক্রস থেকে ক্যাসপার ডলবার্গ বল পেলে দূরের পোস্ট থেকে গোল করতে কোনো ভুল করেননি এই নিস স্ট্রাইকার।
বিরতির পর আক্রমণের ধার বাড়ায় চেক। এরই ধারাবাহিকতায় খেলার ৪৯তম মিনিটে ব্যবধান কমায় দলটি। ভ্লাদিমির কোউফালের ক্রস থেকে দারুণ এক ভল্যি করে গোলটি আদায় করে নেন প্যাট্রিক শিক।
ডেনমার্ক ৭৮তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল। মার্টিন ব্র্যাথওয়েটের কাছ থেকে ওয়াস বল পেয়ে ইউসুফ পৌলসেনের দিকে কাট করেন। পৌলসেন বক্সের বাইর থেকে শট নিলেও চেক গোলরক্ষক টমাস ভাকলিকের সুবাদে রক্ষা পায় দলটি।
তিন মিনিট পরে আরও একটি সুযোগ হারায় ডেনিশরা। মায়েহলের ডিফেন্স চেরা পাস পৌলসেন পান। তবে এবারও ঠেকিয়ে চেকদের ত্রাতা হন ভাকলিক। ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো গোল না হওয়ায় মাঠ ছাড়ে ডেনমার্ক ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়েই।