মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিনে সোমবার শেষ সেশনে ৩১৫ বলে ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করেন মুশফিক। এর একটু পরই ৬ উইকেটে ৫৬০ রানে ইনিংস ঘোষণা করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক।
আগের দিনের ৩ উইকেটে ২৪০ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ। সোমবার মুমিনুল হক ৭৯ এবং মুশফিক ৩২ রান নিয়ে খেলার গোড়াপত্তন করেন। নেমে স্বচ্ছন্দে খেলতে থাকেন তারা। শক্তভাবে ক্রিজে সেট হয়ে যান এ জুটি। স্বভাবতই ছন্দময় ব্যাটিং উপহার দেন মুমিনুল-মুশফিক।
টেস্টে মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি হলো তিনটি। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ডাবল সেঞ্চুরি আছে আর শুধু সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের। দুজনেরই একটি করে।
দারুণ ব্যাটিং করেন মুমিনুল-মুশফিক। জিম্বাবুয়ে বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছিনিমিনি খেলেন তারা। জমাট বেঁধে গিয়েছিল তাদের জুটি। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতন। এন্সলে এনদিলোভুর কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফেরেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ফেরার আগে ১৪ চারে ১৩২ রানের অনিন্দ্যসুন্দর ইনিংস খেলেন তিনি। তাতে মুশির সঙ্গে ভাঙে তার ২২২ রানের জুটি। এ পথে অনন্য রেকর্ড গড়েন মুমিনুল-মুশফিক। এতদিন টেস্টে দুটি করে দুইশ রানের জুটি ছিল তামিম ইকবাল-ইমরুল কায়েসের। দুই মিডলঅর্ডারেরও ছিল তাই। এবার দুই ওপেনারকে ছাড়িয়ে গেলেন পয়েট অব ডায়নামো ও মিস্টার ডিপেন্ডেবল। তাদের দুইশ রানের জুটি হলো তিনটি।
বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে এটিই মুশফিকের প্রথম ডাবল। আগের দুটি করেছিলেন কিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের সবশেষ টেস্টে এই মিরপুরেই ২০১৮ সালের নভেম্বরে মুশফিক করেছিলেন ক্যারিয়ার সেরা ২১৯। এরপর মাঝের ১০ ইনিংসে আর তিন অঙ্কের দেখা পাননি তিনি। এবার শুধু সেঞ্চুরিই করলেন না, সেটিকে রূপ দিলেন ডাবলে।
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ১০৬.৩ ওভারে ২৬৫ (আগের দিন ২২৮/৬) (মাসভাউরে ৬৪, কাসুজা ২, আরভিন ১০৭, টেইলর ১০, রাজা ১৮, মারুমা ৭, চাকাভা ৩০, তিরিপানো ৮, এনদিলোভু ০, টিসুমা ০, নিয়াউচি ৬*; এবাদত ১৭-৮-২৬-০, আবু জায়েদ ২৪-৬-৭১-৪, নাঈম ৩৮-৯-৭০-৪, তাইজুল ২৭.৩-১-৯০-২)।