সাম্প্রতিক শিরোনাম

যন্ত্রণা বুকে চেপে ছটফটিয়ে মরব সভ্যতার উপহার ঠান্ডা শপিংমলে-মোহাম্মদ হাসান

বেদনার ফুল ফোটে স্মৃতির বাগানে। পায়চারি করতে গিয়ে আমরা দেখি, কত প্রেম রাখা আছে বইয়ের পাতার ভাঁজে। কত মন কেমন ছড়ানো-ছেটানো অসময়ের টবে। সেদিন হয়তো অনেক কিছুই হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। অথচ কতকিছুই হয়নি। তবু সমস্ত সম্ভাবনার কথা মনে পড়লে আজও বুকের রক্ত ছলকে ওঠে। এএসএলে উচ্চারণে নেমে আসে মিঠে খুনসুটির রাত। কতশত দুষ্টুমির সেইসব নির্মল পাপ আজ আমাদের সমূলে বিদ্ধ করে, গোপনে কাঁদায়। তবে আমরা কাঁদব না তো কাঁদবে কে! এগোতে এগোতে আমরাই তো ভুলে থাকি, আমাদের অতীত আমাদের সঙ্গে সঙ্গেই চলে। উদাসীনতার মুদ্রাদোষ একদিন তার হাত কেড়ে নেয় আমাদের আঙুল থেকে। তবুও অপেক্ষা থাকে। আর যত শীত-গ্রীষ্ম পেরোয়, পেরতে থাকে, তত প্রশস্ত হয় কবরের ভূমি। একদিন সেখানের মুখ লোকায় অতীত। স্মৃতির শুকনো পাতা হাতে আমরাও কবরস্থ করি আমাদেরই একাংশ। সভ্যতার এই অভিশাপ বয়ে চলা ছাড়া গতি নেই। সুতরাং গোপন রক্তক্ষরণ ছাড়া আমার বিশেষ কিছু সম্বলও নেই।

পুরনোর জায়গায় নতুন আসবে- এ নিয়মের ব্যত্যয় নেই। শরতের সোনা এসে মুছে দেবে বর্ষার সবুজ। তাতে আক্ষেপেরও কিছু নেই। কেননা পুরুষ্ট শস্য এসেই তো পুষ্টি দেবে সভ্যতাকে। পৃথিবী তাই এই নিয়মেই ঘুরিয়ে চলেছে সময়ের কাঁটা। কিন্তু এই যে আমরা চামড়ার নিচে ঢুকিয়ে দিয়েছি উদাসীনতা, এই যে আমরা নির্লজ্জভাবে অতীতবিচ্ছিন্ন ও আত্মগোপনকারী, এ প্রবণতাই শঙ্কার। খেয়াল করলে দেখব, ওই চ্যাটে ভুয়ো নামে অস্তিত্বশীল হওয়ার মতোই ঘুরে বেড়াচ্ছে আমাদের মিছে সত্তা। আর কতদিন কাউকে চিঠি লিখছি না আমরা কতদিন আদরের গন্ধে আঁকা হয়নি হরফ: কেমন আছো? অথচ উপায় যে নেই তা তো নয়। তবু কতদিন আমরা চেপে বসিনি মন্থর ট্রেনে। কতদিন বাসস্টপে দাঁড়ানো কাউকে জিজ্ঞেস করিনি, কটা বাজে? এই ট্রেন-ঘড়ি-চিঠিও একদিন হয়তো চলে যাবে। আর যন্ত্রণার রক্ত বুকে চেপে আমরা ছটফটিয়ে মরব সভ্যতার উপহার ঠান্ডা শপিংমলে। তবু কতদিন কেটে যাবে, রাস্তায় নেমে কাউকে হাত ধরিয়ে ক্রসিং পের করিয়ে দেব না আমরা। অচেনা কারওর সঙ্গে গল্প করতে করতে আমরা বলে ফেলব না, আসুন না একটু চা খাই। একদিন সবই চলে যাবে। আর সেই সব হারানোর ভিতর জেগে থাকবে আমাদের ভারচুয়াল আমি। আমাদের আদরের ডাকনামকে ভেংচি কেটে বিদ্রুপ করে যাবে, আমাদেরই ডিজিটাল সিগনেচার।

সুতরাং আমাদের উপশম নেই। প্রগাঢ় ক্লান্তি শুধু জেগে আছে চোখের তলায়। সেই অনপনেয় ক্লান্তিরেখায় বাস করতে করতে আমারা একদিন বুঝেও যাই,

আমার অন্তিম যাত্রা আস্তে আস্তে এগিয়ে চলেছে কবরস্থানের দিকে,আর আমি তার পেছন পেছন হাঁটছি।
লেখকঃ মোহাম্মদ হাসান, সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

সর্বশেষ

বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া সভাপতি ফারুকের প্রায় ১২০ কোটি টাকা ট্রান্সফার!

বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে বিশাল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে! ক্রিকেট বোর্ডের প্রায় ১২০ কোটি টাকার ফান্ড আওয়ামী ঘরানার দুই ইয়েলো...

২০০৯ এর বিডিআর বিদ্রোহ এবং ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতি

"২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় প্যারাশুট রেজিমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাটালিয়নের মেজর কমলদীপ সিং সান্ধু সেদিন "স্পিয়ারহেড" বা অগ্রগামী বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি...

কি ঘটেছিলো বিডিআর বিদ্রোহে! নেপথ্য কাহিনি

আলোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কাহিনি আজও অনুদ্ঘাটিত রয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও সেই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সত্য কেউ জানতে পারেনি। কীভাবে কার স্বার্থে এবং...

পিটিয়ে হত্যা: ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে ছাত্রদলের যে পাঁচজনকে দেখা গেছে তারা হলেন- সাঈদ হোসেন...