“উই হ্যাক টু প্রটেক্ট বাংলাদেশ” স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু হওয়া বাংলাদেশি হ্যাকার সংগঠন ‘সাইবার ৭১’ আজ ৮ বছরে পদার্পন করবে। বাংলাদেশি হ্যাকার গ্রুপ সাইবার ৭১ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ফেলানি হত্যা মামলার রায়ের প্রতিবাদে ভারতীয় পুলিশের ওয়েবসাইট, ভারতীয় দূতাবাস এবং ভারতীয় বিপুল সংখ্যক বিশ্ব বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফেলানির ছবি দিয়ে হ্যাক করে শুধু বাংলাদেশ আর ভারত নয়, বরং সমগ্র বিশ্ব বাসীকে তাদের সম্পর্কে জানান দেয়। প্রতিষ্ঠার ৮’ম বছরে এসেও পা দিয়েও প্রতিবাদের কণ্ঠ কমে নি, বরং বহু গুনে বেড়েছে তার প্রমান কাজের মাধ্যমেই দিয়ে গেছে সাইবার-৭১।
ফেলানি হত্যা মামলার আসামির মুক্তির প্রতিবাদে ভারতীয় রাজ ভবন / সরকারী বেসরকারী ওয়েবসাইট সহ শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের ওয়েবসাইটে প্রতিবাদে ভারতীয় প্রশাসনের কাছে আতংকের এক নাম হয়ে দাড়ায় সাইবার-৭১। ভারতের পুলিশ হুমকি দিলেও থেমে থাকে নি তাদের কাজ, বরং পালটা আক্রমনে তাদের ওয়েবসাইট হ্যাক করে জানিয়ে দেয় যে, সত্যের পক্ষে যারা থাকে তারা কখনোই ভয় পায় না। শুধু ভারত নয়, পাকিস্তানের বিভিন্ন ওয়েবসাইটেও সমান তালে আক্রমন করে নিজেদের জানান দিয়েছে সাইবার একাত্তর।
দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি টেস্ট করে সেই সাইটগুলোর দুর্বলতা কর্তৃপক্ষকে জানানোর মত কাজটিও এই হ্যাকার গ্রুপ করে থাকে। বাংলাদেশের কয়েকটি বেসরকারি ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে মিয়ানমারের হ্যাকারদের আক্রমন এর জবাব হিসেবে হাজারের উপর মিয়ানমারের সরকারী দপ্তরিক ও সামরিক ওয়েবসাইট হ্যাক করে বাংলাদেশের পতাকা ঝুলিয়ে দেয় সাইবার একাত্তরের।
শুধু তাই নয়, তরুণদের স্বল্প খরচে আউটসোর্সিং, ইথিক্যাল হ্যাকিং এর প্রশিক্ষন দেয় সাইবার একাত্তর। প্রতিষ্ঠার ৮’ম বছরে পূর্বের মত সমান তালে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা হ্যাকার গ্রুপটির।