মাস্ক কত প্রকার:
• এন-৯৫ মাস্ক।
• তিন স্তর বিশিষ্ট ডিসপোজাল সার্জিক্যাল মাস্ক।
• গেঞ্জি কাপড় ও স্পঞ্জের মাস্ক।
• কাপড়ের তৈরি মাস্ক।
• ওড়না বা রুমাল বেঁধে মাস্কের মতো ব্যবহার।
মাস্কে লাভ হচ্ছে কি?
সোজা কথায় বললে, কোনও কাজের কাজ হবে না এতে। জানান, মেডিসিন ও সংক্রামক অসুখের বিশেষজ্ঞ অমিতাভ নন্দী। তাঁর সঙ্গে সহমত বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ সুমিত সেনগুপ্তও। ভায়ারোলজিস্ট সুশ্রুত বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই বিষয়ে সম্পূর্ণ একমত। তাঁদের মতে, এই ধরনের ভাইরাস কখনওই মাস্ক দিয়ে ঠেকানোর নয়।
তাহলে কি মাস্ক পরবেন না?
- মাস্ক পরবেন তবে যখন করোনা আক্রান্ত রোগীর পাশে দীর্ঘক্ষন থাকবেন। ২ মিটারের ভিতর থাকবেন, রোগীর সংস্পর্শে আসবেন। আর এক্ষেত্রে এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার করবেন।
- নিজে আক্রান্ত হলে অন্যর মাঝে যেনো না ছড়ায় তার জন্য সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করবেন।
- গেঞ্জি কাপড় কিংবা ওড়নার মাস্ক কোনো কাজে আসবেনা।
মাস্কে রিস্ক ফ্যাক্টর কী কী?
• এন৯৫ মাস্কের মাধ্যমে ৯৫ শতাংশ ভাইরাস মরে। কিন্তু এই মাস্ক সব সময় পরে থাকা যায় না। একটানা ১০ মিনিট পরে থাকলেও নানা সমস্যা হয়। নাক-কানে চাপ পড়ে। কানে ব্যথা হয়। একটা সময়ের পর দমবন্ধ লাগে। তাই এই মাস্ক পরলে বার বার তা নামিয়ে রাখতে বাধ্য হন মানুষ। কখনও কখনও নাকে-মুখে হাত দিয়ে তা ঠিক করতে হয়। এতেই ক্ষতি বাড়ে।
• আর কোনও ধরনের মাস্ক এ ক্ষেত্রে খুব একটা কাজে লাগে না। তা ছাড়া যে কোনও মাস্কই গরম লাগার পর খুলে ফেলছেন অনেকে। এতেও হাত লাগছে মাস্কে।
• মাস্ক পরার পর মাঝেমধ্যেই তা ঠিক করতে তাতে হাত দিচ্ছেন সবাই। এতে হাতের জীবাণু মাস্কে যাচ্ছে। মাস্কের উপরিভাগের জীবাণু মিশছে হাতে। ফলে কাজের কাজ তো হচ্ছেই না, উল্টে ক্ষতি বাড়ছে।