সাম্প্রতিক শিরোনাম

জেনে নিন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য

করোনা এয়ারবর্ন ভাইরাস না। মানে এর জীবানু বাতাসের মাধ্যমে সংক্রামিত হয় না।

তবে কেউ হাচিঁ/কাশি দিয়ে তার মুখ নিঃসৃত লালা (ড্রপলেট) এর মাঝে ভাইরাস থাকে, যা কিছুক্ষন ভেসে থেকে ৩-৬ ফুট রেডিয়াসের ভেতর ফ্লোরে আছড়ে পরে।

কিন্তু ফ্লোরে পরার আগে অন্য কোন ব্যক্তি যদি তা নিঃশ্বাসের সাথে নিজের শরীরের ভেতর টেনে নেয়, কিংবা হাত দিয়ে টাচ করে, তবে সে ঐ ভাইরাসে আক্রান্ত হবে।

আক্রান্ত লোকের সংস্পর্স ছাড়া অন্য উপায়ে সংক্রামনের বাস্তব উপায় নাই।

ভাইরাস বাচঁতে ড্রপলেট লাগবে। কোষের বাইরে বাঁচতে পারেনা। উপযুক্ত পরিবেশে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত বেচে থাকে একটা ভাইরাস। আর অনুপযুক্ত পরিবেশে ২০ সেকেন্ডও না।

ভাইরাস কিন্তু জীবিত কিছু না। মজার জিনিষ হলো, এটা একটা কোড মাত্র। যার কোন জীবন নেই।

সহজ ভাষায়- আমাদের কোষের দুটো অংশ আছে। সফটওয়্যার পার্ট এবং হার্ডওয়্যার পার্ট।কম্পিউটার কোডিং এর মতই। FFFFF কোড যেমন HTML এ সাদা রং তৈরী করে, আমাদের কোষও কি বানাবে তা নির্ভর করে কোডিং এর উপর।

সাধারণ অবস্থায়, আমাদের কোষের DNA তে কোড সেট করা আছে শরীর ঠিক রাখতে কি কি বানাতে হবে সেটা।

ভাইরাস একটা ফরেন পার্টিকেল, যেটা কোষে ঢুকে যায়। সে তার নিজস্ব DNA বা RNA বহন করে। আমাদের কোষ যেহেতু ফ্যাক্টরী সে ওই কোড অনুসারে ক্ষতিকর জিনিষ বানাতে থাকে।

DNA বা RNA কে সফটওয়্যার কোডের সাথে তুলনা করা যায়। এটা নিজে জীবিত কিছু না। এটা একটা কোড, যা কোষের রাইবোজেমকে জানায় কি কি বানাতে হবে।

ভাইরাস নিজস্ব কোড নিয়ে কোষে ঢুকে অপ্রয়োজনীয় জিনিষ বানাতে থাকে।

তবে এটা চিরকাল চলতে পারে না। শরীরের ভিজিলেন্স টিমের প্রধান T-Cell লিম্ফোসাইট সবসময় গোয়েন্দাগিরি করে আজাইর‌্যা কেউ আছে কি না। একবার সে ভাইরাস কে ধরতে পারলে সেন্টালে খবর পাঠায়।

শরীরের র‌্যাব শ্বেতরক্তকণিকা তখন ভাইরাসকে ধরে ক্রসফায়ার দেয়।

১ ফোটা বিষ খাইলে হয়তো মরবেন না। মরতে হলে কমপক্ষে একটা নির্দিষ্ট পরিমান খেতে হবে। তেমনি ২-১ টা ভাইরাস শরীরে ঢুকলে রোগ হবে বিষয়টা এমন না। একটা বাচ্চা জন্ম দিতেও কয়েক লাখ শুক্রাণু যায়, কাজের কাজ করতে পারে না ১টাও বেশিরভাগ সময়।

ঠিক তেমনি, যে কোন রোগ তৈরীর জন্য বড় মাপের জীবানুর ঘনত্ব প্রয়োজন। এতে ম্যাথমেটিক্যালী তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকে। অল্প পরিমাণে ঢুকলে তা গলা দিয়ে নামতে নামতেই মরবে।

এটা হলো ভাইরালজি মানে ভাইরাস যেভাবে কাজ করে। আর ইম্যুনোলজিটা হলঃ

যখন ভাইরাস ধরা পড়ে, তখন তার টিপসই (জেনেটিক কোড) কপি করে বডির ডিফেন্স মেনুফ্যাকচারার অস্থি-মজ্জায় পাঠানো হয়। সে সেই টিপসই সেভ করে রাখে কিছু B-Cell লিম্ফোসাইট তৈরীর মাধ্যমে।

যখনই ভবিষ্যতে ওই ভাইরাসকে পাবে ওই B-Lymphocyte ওর সাথে লেগে যাবে GPS ট্রাকারের মত। Lymphocyte যার সাথেই লাগবে আমাদের র‌্যাব তাকেই ক্রসফায়ার দেবে। আর এটাকেই বলে এন্টিবডি।

তবে এই মারামারি জন্য যে সংঘর্ষ হবে তাতে বহু আহত-নিহত হবে। এজন্য রোগ প্রকাশ পাবে, শরীর দূর্বল হবে।

জ্বর মানে, শরীরে দু-পক্ষের মারামরি চলতেছে। কোষের hardware part কোন্টা?

সম্পূর্ণ কোষটাই একটা ফ্যাক্টরী। এর মধ্যে ছোট একটা অংশ নিউক্লিয়াস যেটা সফটওয়্যার ডেটা সেন্টার হিসাবে কাজ করে।

মানুষের নিউক্লিয়াসে ৪৬ টা ক্রোমোজোম থাকে (৪৬ টা হার্ড ড্রাইভ) .. প্রতিটা হার্ডড্রাইভ ভর্তি আছে DNA .. DNA হল হার্ডড্রাইভের .C, D ড্রাইভ পার্টিশনের মত। এই পার্টিশনের মধ্যে আছে জিন।

জিন হচ্ছে মিনিং ফুল ইন্সট্রাকশন সেট। যেমন কারো চোখের রং নীল হবে তার জন্য কোড T-A-G-A-U ধরণের। পোষা প্রানী বা পেট থেকে কি ভাইরাস ছড়াতে পারে?

হ্যাঁ পারে, তবে পোষা প্রাণী আমাদের দেশে হোস্ট নয়। আক্রান্ত ব্যক্তির পোষা প্রাণী থাকলে সেই প্রাণীর শরীরের মাধ্যমে ছড়াতে পারবে। রোগটার উৎপত্তি বাদুর থেকে। বাকী প্রাণীগুলো নিয়ে গবেষণা এখনো পাইনি, তারা আক্রান্ত হয় কি না।

দুনিয়ারর বেশিরভাগ ভয়াবহ রোগের হোস্ট এই বাদুর। ভাইরাসের কারখানা। সেদিন Origin of virus নিয়ে পড়ছিলাম নেটে। অনেকে মনে করেন, মানুষ সৃষ্টির আগে ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল।

অবশ্য ধর্মীয় দিক থেকে মনে করা হয় পৃথিবীতে মানুষের উৎপত্তি হয়নি। আমরা এলিয়েন, ভিন্ন জগৎ থেকে এসে পৃথিবীতে আশ্রয় নিয়েছি।

এলিয়েন হবার সম্ভাবনাও আছে। পৃথিবীতে ন্যাচারাল সিলেকশনের মাধ্যমে ইন্টেলিজেন্স গ্রো করার উপায় নেই। পৃথিবীর সবচেয়ে ইন্টেলিজেন্ট প্রাণী (ডলফিন) এখনো সমুদ্রে সাতার কেটে বেড়াচ্ছে। আবার মানুষের জামা কাপড় প্রয়োজন হয় তাপমাত্রা ঠিক রাখতে। ন্যাচারাল সিলেকশনে এমনটা হবার কথা নয়।

লেখকঃ প্রলয় হাসান

সর্বশেষ

পিটিয়ে হত্যা: ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে ছাত্রদলের যে পাঁচজনকে দেখা গেছে তারা হলেন- সাঈদ হোসেন...

২০২৩ এর সফল ফ্রিল্যান্সার অ্যাওয়ার্ড পেলেন সাইমন সাদিক

সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে কাজ করে আসছেন। এর মাঝে একটি এজেন্সিও দিয়েছেন নাম...

ডিআর কঙ্গোতে শান্তিরক্ষী মিশনে  সেনাবাহিনীর ‘আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ মোতায়েন

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে মোতায়েন হতে যাচ্ছে। জাতিসংঘ সদর দপ্তরের আহবানে সাড়া...

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...