জানা অজানা

পৃথিবীর কিছু রহস্যময় স্থান! যা দেখে অবাক হবেন আপনিও

সাম্প্রতিক সংবাদ
শান্তা ইসলাম
Sponsored

আমাদের পৃথিবীতে রহস্যের কোন সীমা নেই। আর এই পৃথিবীতে এমন কিছু স্থান আছে যেগুলো রহস্যে ভরা এবং আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগেও সেসব স্থানের রহস্য ভেদ করা সম্ভব হয়নি । আজ আমরা এ ধরনের বিশেষ কিছু স্থান সম্পর্কে ধারণা নিবো। বিজ্ঞানীরা এগুলোকে অতি-প্রাকৃতিক স্থান বলে অভিহিত করেছেন।

চলুন জেনে নেই সেই রকম পৃথিবীর কিছু রহস্যময় স্থান সম্পর্কে:

ক্যালিফোর্নিয়ার রেসট্র্যাক প্লায়া:
প্রকৃতির এক বিস্ময়, যে পাথরগুলো আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়
নিজে নিজেই স্থান পরিবর্তন করে। পাথরগুলিকে চলমান
অবস্থায় কেউ কখনো দেখেনি, তবুও পাতলা কাদার স্তরে
রেখে যাওয়া ছাপ থেকে পাথরগুলোর স্থান পরিবর্তন
নিশ্চিত হওয়া যায়। কিছু কিছু পাথরের কয়েকশ পাউন্ড পর্যন্ত
ওজন হয়, এই ভারি ভারি পাথরগুলো কিভাবে এক স্থান থেকে
অন্য স্থানে যায়, সে রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি।
পাথরের ট্রেইলে রেখে যাওয়া সূক্ষ্ম ছাপ থেকে
বোঝা যায় পাথরগুলো এমন সময়ে স্থান পরিবর্তন করে
যখন উপত্যকায় পাতলা কাদামাটির আস্তরণ থাকে। মানুষ বা অন্য
কোনো প্রাণীর দ্বারা পাথরের স্থান পরিবর্তন হওয়ার
সম্ভাবনা থাকলেও আশেপাশের কাদায় তাদের কোনো চিহ্ন
পাওয়া যায় না।

ক্যালিফোর্নিয়ার রেসট্র্যাক প্লায়া, ডেথ ভ্যালি-তে এমন
বিশ্বয়কর ঘটনাটি বিশেষজ্ঞদের নজরে আসে ১৯৪৮
সালে। হঠাৎ তীব্র বাতাস, কাদামাটি, বরফ, তাপমাত্রার তারতম্যতা
বিভিন্ন বিষয় পাথরের সরে যাওয়ার পেছনে কারণ বলে
বিজ্ঞানীরা মনে করলেও পাথরের চলার পথের ভিন্নতার
কারণে রহস্য থেকেই যায়।

নরকের দরজা:
তুর্কেমেনিস্তানের ডারভায শহরে অবস্হিত এটি একটি
জ্বলন্ত গর্ত। জ্বলন্ত জায়গাটি ‘Door to Hell’ বা ‘নরকের
দরজা’ নামে সুপরিচিত। ১৯৭১ সাল থেকে জায়গাটি অবিরত দাউ
দাউ করে জ্বলছে। ১৯৭১ সালে এখানে গ্যাস খনির সন্ধান
মেলে। প্রাথমিকভাবে গবেষণা করে বিষাক্ত গ্যাসের
ব্যাপারে গবেষকরা নিশ্চিত হন যার পরিমান ছিল সীমিত। সিদ্ধান্ত
নেয়া হয় যে, এই গ্যাস জ্বালিয়ে শেষ করা হবে ফলে এর
বিষাক্ততা ছড়ানোর সুযোগ পাবে না। এরপর এখানে গর্ত
করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু গবেষকদের অবাক
করে দিয়ে তা এখনও অর্থাৎ ৪০ বছর ধরে একাধারে
জ্বলছে। অথচ গবেষকরা নিশ্চিত ছিলেন যে, অল্প
কয়েকদিন মধ্যে এই গ্যাস শেষ হবে এবং আগুন নিভে
যাবে।

মাউন্ট রোরাইমা:
মাউন্ট রোরাইমা সমতল শীর্ষ বিশিষ্ট পর্বতমালা যার স্থানীয়
নাম টিপুই। খুবই দুর্গম আর মেঘে আবৃত-ভেজা রহস্যময়
টিপুই, এমনকি শুকনো মৌসুমেও মেঘে ঢাকা থাকে। এই
পবর্তমালার প্রথম আলোচনায় আসে ১৫৯৬ সালে। ৩১ বর্গ
কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থান আর চারদিক ৪০০ মিটার লম্বা
ক্লিফ দ্বারা বেষ্টিত এই পর্বতমালার অবস্থান তিন দেশের
সীমান্তে ভেনিজুয়েলা, ব্রাজিল আর গায়ানা। কিন্তু একমাত্র
ভেনিজুয়েলা সীমান্ত দিয়েই এই দুর্গম পর্বতে প্রবেশ
করা যায়। এই অপূর্ব সুন্দর পবর্তটি বছরের বেশিরভাগ সময়
মেঘে ঢাকা থাকে, যেন এক স্বর্গ রাজ্য!

ম্যাকমার্ডো ড্রাই ভ্যালী:
অনেকের মতে ‘ম্যাকমার্ডো ড্রাই ভ্যালী’ বিশ্বের
সবচেয়ে গোপন জায়া। এই জনমানবহীন উপত্যকাটি
বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমির একটি এবং সম্ভবত বিশ্বের
সবচেয়ে শুষ্ক জায়গা। এন্টার্কটিকার বরফ ও তুষারের
মধ্যস্থলে অবস্থিত হলেও প্রতিবছর এখানে মাত্র ৪ ইঞ্চি
বৃষ্টিপাত হয়। স্থানটি মেরুঅঞ্চলের বরফে ঢাকা থাকার কথা
হলেও এটা সম্পূর্ণ বরফশূন্য ও খালি। এখানে কিছু শৈবাল দেখা
গেলেও কোন গাছপালা নেই। বিজ্ঞানীদের মতে,
পৃথিবী উপগ্রহের এই স্থানটির অদ্ভূত মিল রয়েছে মঙ্গল
গ্রহের পরিবেশের সাথে।

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল:
বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল যা শয়তানের ত্রিভূজ নামেও পরিচিত,
আটলান্টিক মহাসাগরের একটি বিশেষ অঞ্চল, যেখান বেশ
কিছু জাহাজ ও উড়োজাহাজ রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হওয়ায়
কথা বলা হয়। অনেকে মনে করেন ঐ সকল অন্তর্ধানের
কারণ নিছক দূর্ঘটনা, যার কারণ হতে পারে প্রাকৃতিক দূর্যোগ
অথবা চালকের অসাবধানতা। আবার চলতি উপকথা অনুসারে
এসবের পেছনে দায়ী হল কোন অতিপ্রকৃতিক কোন
শক্তি।

মগুইচেং:
চীনের মগুইচেং চীনের ঝিনজিয়াং অঞ্চলের একটি মরুভূমি
হচ্ছে মগুইচেং। এর আক্ষরিক অর্থ ‘শয়তানের নগরী’।
স্থানটি সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত ও জনশূন্য। অনেক অদ্ভূত ঘটনা
এখানে ঘটে বলে লোকজন জানিয়েছেন। দর্শনার্থীরা
এই স্থানে রহস্যময় আওয়াজ, বিষন্ন সুর ও গিটারের মৃদু ধ্বনি,
বাচ্চাদের কান্না এবং বাঘের গর্জন’ শুনতে পেয়েছেন
বলে দাবি করেন। এসব শব্দের কোন উৎসের সন্ধান
আজো কেউ পাননি।

আওকিঘারা:
জাপানের আওকিঘারা জাপানের আওকিঘারা জঙ্গলটি একটি রহস্যময়
ভূখণ্ড। এটা জাপানের ফুজি পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত।
সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর স্থান জুড়ে অবস্থিত এই জঙ্গলটি
কোঁকড়ানো ও মোচড়ানো গাছ পালায় পূর্ণ। গোটা এলাকাটি
ভূতপ্রেতের অবাধ বিচরণ ভূমি বলে স্থানীয় জনগণের
বিশ্বাস। দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্থানটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম
আত্মহত্যার স্থান হিসেবে পরিচিত। পঞ্চাশের দশক থেকে
এ পর্যন্ত ৫ শতাধিক লোক এখানে আত্মহত্যা করেছে।
কিন্তু কেহই জানেনা মানুষ আত্মহত্যার জন্য কেনইবা এই
স্থানটিকেই বেছে নেয়।

Sponsored
Leave a Comment

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…

January 12, 2024

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…

January 10, 2024

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…

January 7, 2024

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার…

January 6, 2024

এমনটা কেনো করলেন এ. আর রহমান?

হিরো আলম রবীন্দ্র সঙ্গীত গাওয়ার পর সারা দেশে হইচই শুরু হয়ে যায়। এমনকি ওই প্রতিবাদের…

November 12, 2023

ন্যানোমিটার সেমিকন্ডাক্টর বা চীপ তৈরিতে নিজের শক্ত অবস্থান জানান দিচ্ছে চীন

বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বের সাথে সেমিকন্ডাক্টর চিপ নিয়ে বড় ধরনের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে রেড জায়ান্ট চীন।…

September 25, 2023
Sponsored