বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা এবং ফেলে আসা ‘আইবেরিয়ান পেনিনসুলা’

সাম্প্রতিক সংবাদ
মুনতাহা মিহীর
Sponsored

আমি বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আলচনা করলেও আজ শুধু মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়েই আলোচনা করব। পরবর্তী পোস্টে প্রচলিত সাধারন শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করব।

উমাইয়া খেলাফতের আমলে ইউরোপের আইবেরিয়ান পেনিনসুলা মুসলিমদের দখলে আসে। ইসলামের ইতিহাসে জ্ঞ্যান বিজ্ঞানের স্বর্নযুগ যদি ধরা হয় তবে এই পেনিনসুলাতেই সেটা পূর্নতা পেয়েছিল। ৭১১-১৪৯২ সাল পর্যন্ত এই সময়টা মুসলিমরা শাসন করেছিল এই পেনিনসুলা।

কি ছিলনা সেই আমলে? আল আন্দালুসের করুন কাহিনী আমাদের আক্ষেপ জাগালেও অনেক গুলি প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় না।

আল আন্দালুস বা আধুনিক স্পেনের কথা বলা হলেও এর পরিধি ছিল আরো বৃহৎ। সেই আমলে মুসলিমদের ভেতর জ্ঞ্যানের পিপাসা মুর দের কে মর্যাদার আসনে বসিয়েছিল।

আমি বিস্তারিত লিখব না। যতটুকু জানি ততটুকুই। আল আন্দালুসে যখন জ্ঞ্যান বিজ্ঞানের প্রসার তখন ইউরোপ ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ। বর্তমানে আমরা আফ্রিকাকে যেমন অন্ধকারাচ্ছন্ন বলে থাকি আফ্রিকা তখন মোটেও তেমন ছিল না। মালি, মিশর, মরোক্কো সহ অনেক স্থানে তখন জ্ঞ্যানের জয়জয়কার।

আল আনদালুস কেমন ছিল তার কিছু উদাহরন দেয়া যাক। খ্রিষ্টান ক্যাথিড্রালে যদি ৮০ টি বই থাকতো তখন সেটাকে বলা হত অনেক সমৃদ্ধ ক্যাথিড্রাল। কিন্তু আল আন্দালুসের কর্ডোভা সেভিল এই সুত্রে বাধা ছিল না। বলা হয়ে থাকে কর্ডোভা, সেভিলের শহর গুলিতে এমন কোন বাড়ি ছিলনা যেখানে ছোট খাট লাইব্রেরি ছিল না।

সালতানাতের রাজ গ্রন্থশালায় বই এর সংখ্যা ছিল ৮০,০০০ এর বেশি। আমি খলীফা মামুনুর রশীদের বাইতুল হিকমার কথা বলছি না। শুধু মাত্র একটি শহরের লাইব্রেরি কতটা ওই আমলে সমৃদ্ধ হতে পারে সেটাই বুঝাতে চাইছি।

জ্ঞ্যান মানুষকে মুক্তি দেয়। আজ যারা নিজেকে আলেম উপাধি দেন, তাদের এখনো অনেক কিছু শেখার বাকি। হ্যা, জিজিয়া কর দিয়ে আল আন্দালুসে ইহুদি এবং খ্রিষ্টান দের থাকতে দেয়া হত। যেহেতু ইহুদি খ্রিষ্টান যারা আছেন তাদেরকে যুদ্ধ করা লাগত না তাই এই করের বিপরীতে তাদের সম্পূর্ন নিরাপত্তা দিত মুসলিম বাহিনী। একজন মুসলিম যেটুকু নিরাপত্তা পেতেন অন্য ধর্মের মানুষ ও একি নিরাপত্তা পেতেন।

কাহিনী এখনে শেষ হলেও হত। সালতানাতের টাকায় বৃত্তি দেয়া হত। ইউরোপ আফ্রিকার অনেক দেশের ইহুদি খ্রিষ্টান, মুসলিম সেই বৃত্তির জন্য আবেদন করতেন। অনেকেই কর্ডোভা, সেভিলের মত শহরে এসে বসবাস করতেন। আর পুরো ইউরোপের অর্থনৈতিক এবং জ্ঞ্যান বিজ্ঞানের প্রাণ কেন্দ্রে রুপ নেয় শহরগুলি।

সুলতানের বৃত্তির শর্ত ছিল খাওয়া দাওয়া ফ্রি। তাদের কাজ হল সারাদিন গবেষনা করা। নতুন জ্ঞ্যানের সন্ধান করা। মুসলিম, ইহুদী, খ্রিষ্টান একি কক্ষে বসে গবেষনা করতেন। ১৪৯২ সালে সর্বশেষ গ্রানাডার সালতানাত পতন এর আগে পরে আল আন্দালুসে খ্রিস্টান রিকনকুয়েস্ট এর সময় ফার্দিনান্দ এবং ইসাবেলার সৈন্যদের হামলায় শুধু মুসলিমরা জীবন দেয়নি। আন্দালুসের খ্রিস্টান, ইহুদিদের ও হত্যা করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল তারা প্রকৃত খ্রিস্টান নয়। তারা মুর দের সাথে মিশে ওদের মত হয়ে গেছে। ১৪৯২ সালের পর কর্ডোভা, সেভিলের সকল জ্ঞ্যানভান্ডার খ্রিস্টানদের হস্তগত হয়। যার ফলে পৃথিবী প্রত্যক্ষ করে তৎকালীন সব থেকে শক্তিশালী স্পেনিয়ার্ড আর্মাডা। সমুদ্রে দিক নির্নয়ের নিখুত প্রযুক্তি তাদের হাতে আসার পর তারাই হয় সমুদ্রের অপ্রতিরোধ্য শক্তি। পুরো ইউরোপ তখন জ্ঞ্যানের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠে আল আন্দলুসের জ্ঞ্যান ভান্ডারের উপর ভিত্তি করেই। আজ আমরা পাশ্চাত্য জ্ঞ্যান বিজ্ঞান নিয়ে নাক সিটকায়, এর মূল কারিগর ছিল মধ্যযুগের মুসলিমরাই।

যাই হোক, ওই আমলে মসজিদ গুলি কেমন ছিল জানেন? মসজিদ শুধু পাচ ওয়াক্ত নামাযের স্থান ছিল না। ছিল পূর্নাঙ্গ জ্ঞ্যান চর্চা কেন্দ্র। দিনের অধিকাংশ সময় মসজিদের সামনের স্থানে বিভিন্ন বক্তা বিভিন্ন নতুন নতুন বিষয়ে বকৃতা করতেন। গণিত, জ্যামিতি, চিকিৎসা, জোতির্বিদ্যা, দর্শন, ফিকাহ, ধর্ম কোন কিছুই বাদ যেত না। কেউ কারো সাথে দ্বিমত পোষন করলে বেশ আয়োজন করেই আলোচনার জন্য আগে থেকে প্রচার করা হত ( আধুনিক যুগের মাইকিং করার মত) এরপর বিজ্ঞ প্যানেলের সামনে চলত ডিবেট। (যাকে বলা হত বাহাস, এখন আর তেমন বাহাস দেখা যায় না।) যুক্তি উপস্থাপন, খন্ডন। এখন যেমন ডেফ্রেসে কারো মত পছন্দ না হলেই তাকে গালি দিয়ে খুব বড় কামেল সাজেন তখন তেমন ছিল না। এলেমের কদর তারা বুঝতেন।

রাস্তা দিয়ে যেই হেটে যাক না কেন, মসজিদের সামনের আলোচনা পছন্দ হলে সুন্দর মত দর্শক সেজে বসে যেতেন। মেয়েরাও।

সেই সময়ের অর্জিত জ্ঞ্যানের কাছে ঋনী গোটা আধুনিক বিশ্ব। Geber এর ত্রিকোণমিতি, Arzachel এর এস্ট্রোনমি, Abulcasis এর সার্জারি বিদ্যা, Avenzoar এর ফার্মাকোলজি, Ibn Bassal ও Abū l-Khayr al-Ishbīlī এর এগ্রোনমি থেকে শুরু করে হাজারো পন্ডিতের জয়জয়কার ছিল আল আন্দালুস। নাম মনে করতে পারছি না এমন একজন চিকিৎসক ছিলেন যিনি কিনা তাজা মাংশ ক্রয় করে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে রেখে আসতেন। নির্দিষ্ট সময় পর যেয়ে পর্যবেক্ষন করতেন কোন স্থানের মাংশ আগে পচন ধরেছে এবং কোন স্থানের মাংশ কম পচন ধরেছে। যেখানে কম পচন ধরেছে সেখানে তিনি হাসপাতাল স্থাপন করেছিলেন।

কেমিস্ট্রির পূর্বসূরি আলকেমির বিপ্লব হয়েছিল আন্দালুসে।

আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি? মধ্যযুগে যারা এসব বড় বড় আবিস্কার করেছিলেন ইনারা অধিকাংশ ছিলেন ধর্মীয় জ্ঞ্যানের দিক থেকে পন্ডিত। অনেকে ছিলেন হাফেজ। ( আমি পারস্যের মঙ্গল আক্রমনের পর পারস্যের সেই বিখ্যাত পন্ডিতের কথা এখানে ইচ্ছে করেই বললাম না)

সারা বিশ্বের জ্ঞ্যান বিজ্ঞানে লিড দিয়েছিল মুসলিমরা তাদের হাত ধরেই। ও সরি। তারা কি কাফের ছিলেন? নাহলে ইহুদি, খ্রিস্টানদের সাথে বসে এক কক্ষে গবেষনা কেন করতেন তাইনা? হ্যা। বর্তমান আলেম সমাজ ই শুধু যারে তারে কাফের উপাধি দেয় না। ওই আমলেও এরকম অনেকেই ছিল। ইমাম গাজ্জালিকেও কাফের উপাধি খেতে হয়েছে। ইবনে সীনাকেও। পরবর্তীতে আলেম সমাজ এক প্রকার বাধ্য হয়ে ইমাম গাজ্জালিকে হুজ্জাতুল ইসলাম উপাধি দেয়।

আসলে সমস্যা কোথায় জানেন? আলেম সমাজ প্রকৃত পক্ষে এই সকল অসাধারণ মানুষরাই হবার যোগ্য। যারা নিজেদেরকে আলেম টাইটেল দিয়ে বর্তমানে ঘুরে বেড়ান এরা কত কি করছে কেউ আমাকে বলতে পারবেন?

এমনি বলা হয়নি আলেমের ঘুম আবেদের সারা রাত যেগে নফল নামাজের থেকে উত্তম। ( আবেদ হল যাদের জ্ঞ্যান কম)

এবার আসি বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে। কিছুদিন আগে এক পিচ্চি হুজুরের ওয়াজ আমার কানে বাজতেছিল। বয়স কত হবে? এই ধরুন ১০-১২। ইদানিং নতুন ট্রেন্ড হইছে এটা। যাহোক, পিচ্চি হুজুর বয়ান কঅরতেছেন কাফের মোশরেকদের মত আচরন করলে তারা যা করে তা করলে আমরাও তাদের মত হয়ে যাব। পশ্চিমা কোন কিছুই অনুকরন করা যাবে না। ওরা ইসলামের শত্রু। খুব ইচ্ছে করছিল যেয়ে বলি হুজুর যেই মাইক নিয়ে এই কথা বলতেছেন সেটাও ইহুদিদের আবিস্কার। কেন এই কথা বলছি?

জ্ঞানের কোন ধর্ম নেই। জ্ঞ্যানের কোন ইহুদি নেই, খ্রিস্টান নেই, মুসলিম নেই। এগুলাকে ধর্মের আলোকে বিচার করতে যাওয়া মূর্খের পরিচয়।

আজ আমাদের দেশে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যাবস্থার মেইন সমস্যা কি জানেন? কখনো শুনেছেন মাদ্রাসায় পড়ে বড় ডাক্তার হয়েছে? ইঞ্জিনিয়ার হয়েছে? বড় পদার্থবিজ্ঞানী হয়েছে?

কিভাবে হবে? মাদ্রাসায় শিক্ষাব্যবস্থা নির্দিষ্ট গন্ডির ভেতরেরি সীমাবদ্ধ। বেশি হলে যেটা হতে পারে সেটা হল পশ্চিমা কালচার ফলো করা করা যাবে না। অথবা সাধারন অন্যান্য সাবজেক্ট গুলিকে এমন ভাবে বাচ্চাদের সামনে উপস্থাপন করে যেন এগুলা ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক। অদ্ভুত ব্যাপার। পদার্থ বিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসা কৌশল এগুলা কি আল্লাহর সৃষ্টি না? আল্লাহ কি তার সৃষ্টি নিয়ে ভাবতে বলেনি? ও এখন একদল এসে উল্টাপাল্টা বলবেন। তাই এই টপিক এখানেই বাদ রাখি।

আমার বক্তব্য স্পষ্ট। যদি কোন শিক্ষা ব্যাবস্থা থেকে জ্ঞ্যানের সব সাইডের জন্য দক্ষ লোকবল তৈরি না হয় তবে ধরে নিতে হবে সেই ব্যাবস্থায় বড় রকমের গলদ আছে। আমরা যদি এটা মানি যে Islam is the complete code of life, তাহলে এটাও মানতে হবে Islami education systems should cover all aspects of life। ইসলামকে পরিপূর্ন জীবন বিধান হতে গেলে ইসলামী শিক্ষ্যা ব্যাবস্থাকেও পরিপূর্ন হতে হবে। নাহলে ইসলামি সমাজে কোন ডাক্তার আসবে না, কোন আইনজীবী আসবে না কোন বিজ্ঞানী আসবে না, কোন ইঞ্জিনিয়ার আসবে না। মধ্যযুগের জ্ঞ্যান পিপাসু মুসলিম দের ভেতর এতটা গোড়ামী ছিলনা যতটা আধুনিক যুগে এসে দেখছি। অতিতে একজন হাফেজ যেমন ছিল তেমনি যুগের শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক ও ছিল। আমার জানা মতে রাসুল (স: ) সাহাবীদের সুরিয়ানি এবং হিব্রু ভাষা শিখতে উৎসাহিত করেছিলেন। কারন জ্ঞ্যানের অনেক বিষয় ওই ভাষাতেই ছিল। অবাক লাগেনা? বোকো হারাম, যার অর্থ বোকো মানে বই, হারাম মানে নিষিদ্ধ। এই জঙ্গী গোষ্ঠি স্কুলে হামলা চালায় এই ছুতায় যে পশ্চিমা শিক্ষা নেওয়া হারাম। খুব জানতে ইচ্ছে করে যে একে৪৭ কাধে নিয়ে তারা এটা করে সেটাও পশ্চিমা।

আবারো বলছি শিক্ষার কোন পূর্ব, পাশ্চাত্য নেই। গ্রিক পন্ডিত সিক্রেটস, প্লেটো, এরিস্টটল এর লেখা গুলির সব থেকে আদি ভার্সন পাওয়া যায় কি ভাষায় জানেন? আরবিতে। আব্বাসীয় খলিফা মামুনুর রশিদের বদান্যতা তিনি মধ্য যুগের শাসক হয়েও শিক্ষার পাশ্চাত্য, প্রাচ্য খুজ্রন নাই। মুসলিম রা সারা বিশ্বে ট্রেড করার জন্য ছড়িয়ে পরে। আর এর সাথে তারা আরেকটি কাজ করত। সেটা হল দুর্লব বই বা জ্ঞ্যানের সন্ধান পেলেই সেটা আয়ত্ব করা অথবা বই সংগ্রহ করা। এরপর মুসলিম সালনাতের লাইব্রেরিতে সেগুলা দিয়ে পুরস্কৃত হত অনেকেই।

কি করতে পেরেছি আমরা এই আধুনিক যুগে এসে? একটাই করতে পেরেছি সেটা হল ঘৃণা ছড়ানো। আমাদের বর্তমান যুগের ইমান শক্ত হবার উত্তম উপায় হল বেগুনের উপর আল্লাহর নাম, ডিমের উপর আল্লাহর নাম খুজে বের করা। লৌকিকতা বাদ দিয়ে অলৌকিক কিছু বিশ্বাস করা। আর করতে পেরেছি কিছুদিন পর পর ওয়াজে বড় বড় বয়ান করতে। নাসা অমুক আবিস্কার করছে কুরয়ান রিসার্স কর। আর ফেসবুকে ইমানের বড় পরীক্ষা হয় অং সান সুচি এইমাত্র ইসলাম কবুল করেছেন। আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে আমিন না লিখে যাবেন না।

দোষ তো স্রষ্টার উপর দেন। আগে নিজেদের দিকে তাকান। মুর্খামির সাজা সারা বিশ্বে মুসলিমরা পাচ্ছে এবং পাবে।

আল হামরার প্রতিটা স্থাপত্তে জ্যামিতির যেই হিসাব সেই হিসাব করার ক্ষমতা কজন মুসলিম বুঝ্র বা রাখে? এই আধুনিক যুগে?

তাই আমার ব্যাক্তিগত মত হল, মাদ্রাসার এই প্রচলিত শিক্ষা ব্যাবস্থায় আমুল সংস্কার করতে হবে। নাহলে লক্ষ লঅক্ষ জনবল বের হবে প্রতিবছর যাদের জব মার্কেটে প্রবেশ করা হবে বড় চ্যালেঞ্জ। তাদের ওয়াজ করে পেট চালানো ছাড়া উপায় নেই। তাদের শিক্ষাব্যবস্থা এমন করা উচিত যেন প্রতিবছর মেডিকেলে, ইঞ্জিনিয়ারিং এ প্রচুর মাদ্রাসা ছাত্র চান্স পায়। একেকজন গবেষক হয়ে উঠে, চিকিৎসক হয়ে উঠে। মধ্যযুগে ফিরে যেতে হবে যখন হাফেজ, আলেম দের হাত ধরে স্বর্নযুগের সূচনা হয়েছিল।

আর যদি আমরা সেটা না করি, তাহলে আমাদের হুজুররা প্রকাশ্যে বলবে মেয়েদের ক্লাস ৪-৫ পর্যন্ত পড়ানোই যথেষ্ট। আর আমি মনে মনে বলব আপনার মা, বোন অসুস্থ হলে কি তাকে ডাক্তারের কাছে নিবেন না? যেহেতু মেয়েরা ক্লাস ৪-৫ পর্যন্ত পড়া উচিত তাই ধরেই নিচ্ছি কোন মেয়ের ডাক্তার হবার যোগ্যতা থাকবে না। মা বোন দের পুরুষ ডাক্তার কেই দেখাতে হবে। অনেক বড় পরীক্ষা হয়ে গেল?

একটি ছোট্ট তথ্য দিতে চাই। ব্রিটিশরা এদেশে আসার আগেও মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা ছিল অনেক সমৃদ্ধ। তখনো হাফেজ, মুফাসসির এর পাশাপাশি চিকিৎসা, বিজ্ঞান সহ অনেক বিষয় ছিল সিলেবসে। তখন মাদ্রাসায় ছিল প্রকৃত শিক্ষা ব্যাবস্থা যেটা ব্রিটিশরা ধ্বংশ করেছে। বর্তমানে সমাজে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যাবস্থা এমন হওয়া উচিত যেন সেটি হয় প্রচলিত শিক্ষা ব্যাবস্থার থেকেও উন্নত এবং সমৃদ্ধ। সেখানে প্রচলিত শিক্ষা ব্যাবস্থার সব কিছুর পাশা পাশি ধর্মীয় বিষয়বস্তুও থাকা উচিত। দেশের পুরো একটা শিক্ষা ব্যাবস্থা থেকে চাকুরীর বাজারের জন্য দক্ষ জনবল তৈরি হবেনা সেটা হতে পারেনা।

সাম্প্রতিক/এফটি

Sponsored
Leave a Comment

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…

January 12, 2024

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…

January 10, 2024

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…

January 7, 2024

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার…

January 6, 2024

এমনটা কেনো করলেন এ. আর রহমান?

হিরো আলম রবীন্দ্র সঙ্গীত গাওয়ার পর সারা দেশে হইচই শুরু হয়ে যায়। এমনকি ওই প্রতিবাদের…

November 12, 2023

ন্যানোমিটার সেমিকন্ডাক্টর বা চীপ তৈরিতে নিজের শক্ত অবস্থান জানান দিচ্ছে চীন

বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বের সাথে সেমিকন্ডাক্টর চিপ নিয়ে বড় ধরনের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে রেড জায়ান্ট চীন।…

September 25, 2023
Sponsored