কোভিড-১৯ ভাইরাস সনাক্তে দুই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।
১:ডায়গন্সটিক টেস্ট।
২:রেপিড টেস্ট।
পরীক্ষা পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে অবশ্যই ল্যাবোরেটোরি দরকার। সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে ভাইরাসের genome code আবিষ্কার করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত genome code বের করা যাবেনা ততক্ষণ পর্যন্ত কিছু করা অসম্ভব। প্রতিটি ভাইরাসের আলাদা আলাদা genome code থাকে আর তা অবস্থান করে ভাইরাসের DNA ও RNA তে। কিন্তু একই সমজাতীয় ভাইরাসের genome code পুরোপুরি ভিন্ন নয়।
ডায়গন্সটিক পদ্ধতিটি গোল্ডেন ক্যাটাগরির। মেডিক্যাল টেস্ট এ যে পদ্ধতিতে শতভাগ সঠিক ফলাফল পাওয়া যায় সে পদ্ধতিকে গোল্ডেন ক্যাটাগরি বলা হয়। এটিই বর্তমানে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি, মানবদেহে কোভিড-১৯ সনাক্তকরণের ক্ষেত্রে।
প্রায় সব একইমত কিন্তু অনেক গবেষণার পর কিছু পার্থক্য পাওয়া যায়। আর সেই পার্থক্য গুলো পাওয়া গেলেই সেই কোড আবিষ্কার হলো। তাই প্রথমে সবাই করোনা ভাইরাস বলছিল কিন্তু যখনই চীন এই ভাইরাসের genome code তাদের website এ উন্মুক্ত করে তখন থেকেই এর নাম হয় COVID-19.যদি চীন এই কোড না দিতো তাহলে অন্য দেশগুলো কোনো টেস্ট কিট তৈরি করতে পারতো না।
কোড আবিষ্কারের পর সেই কোড অনুযায়ী KIT প্রস্তুত করা হয়। এই কিটগুলো কিন্তু ব্লাঙ্ক। এর মধ্যে আপনি যে genome code দিবেন কিটটি সেই কোডের উপস্থিতি নির্ণয় করবে।আর একটি কিট দিয়ে ১০০ টি নমুনা পরীক্ষা করা যায়।
কিট প্রস্তুতের পর সন্দেহভাজন রোগীর নাক/গলার ভেতর থেকে swab নেওয়া হয়।
কারণ swab ফুসফুস থেকেই আসে আর ভাইরাসটি ফুসফুসেই অবস্থান করে। তারপর সেই specimen টি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করে ল্যাব এ নেওয়া হয়। ল্যাব এ নেওয়ার পর সর্বপ্রথম এই swab থেকে RNA আলাদা করা হয়। কারণ এই swab এর মধ্যে বিভিন্ন উপাদান (মানব কোষ, প্রোটিন, এনজাইম,তরল) রয়েছে। RNA আলাদা করা হয় কারণ COVID-19 এর কোনো DNA নেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হবে সেই পরীক্ষা করা হয় DNA নমুনা দিয়ে।
এই পদ্ধতিটি হচ্ছে PCR(Polymerase chain reaction) যেহেতু DNA দরকার তাই RNA এর ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে একে DNA তে রূপান্তরিত করা হয়। যেমন -1100=+(-1100)।এর ফলে PCR থেকে নাম হয়ে যাবে RT-PCR যেহেতু RNA কে reverse transcripts এর মাধ্যমে DNA তে রূপান্তরিত করা হয়েছে। তারপর সেই RNA প্রবেশ করানো হয় টেস্ট টিউবে। টেস্ট টিউবে আগে থেকেই দেওয়া থাকে primer যেটি ডিজাইন করা হয়েছিল genome code অনুযায়ী এবং এই primer শুধুমাত্র ঐ কোডটাই খুঁজবে DNA তে।
আর থাকবে DNA Building enzyme.এগুলো সব PCR মেচিন এর ভেতরে সয়ংক্রিয়ভাবে হবে।এই পরীক্ষা করতে অবশ্যই PCR মেচিন লাগবে।
তারপর PCR মেশিনের ভেতরে এটির তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও হ্রাসের মাধ্যমে DNA সৃষ্টি হতে থাকে। যখন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় তখন DNA ভেঙে দুটি DNA তে রূপান্তরিত হয় আবার যখনই ঠান্ডা হতে শুরু করে ঠিক তখন primer সেই DNA তে প্রবেশ করে এবং তার ভেতর থাকা genome code খুঁজতে থাকে। যদি সে genome code পেয়ে যায় তাহলে DNA টি সেই genome code অনুযায়ী বৃদ্ধি পায় আর সেই genome code না থাকলে নিজস্ব genome code বহাল থাকে। এই ভাবে যতই তাপমাত্রা বৃদ্ধি হ্রাসের চক্র চলে DNA এর সংখ্যা শত থেকে হাজার, হাজার থেকে মিলিয়ন এ পৌঁছায়। আর ঠিক তখনই PCR মেশিন বুঝতে পারে DNA এর পরিচিতি। যদি Primer এর কোড অনুযায়ী DNA পাওয়া যায় তাহলে test tube টি লাল বাতি দেখায়, অর্থাৎ পজিটিভ।
আর যদি Primer এর কোড গ্রহণ না করে তাহলে লাল বাতি দেখায়না, অর্থাৎ নেগেটিভ।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ভাইরাস আবার genome code change করে। SARS ভাইরাস কিন্তু 374 বার তার genome code change করেছিল। বিভিন্ন অঞ্চলের আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য ভাইরাসের genetic change হয়। তাই primer এ একাধিক code দেওয়া থাকে। এবং প্রতিনিয়ত genetic code অনুযায়ী primer প্রস্তুত করতে হয়। সুতরাং নেগেটিভ মানে নেগেটিভ নয়। হয়তো code change করে ফেলছে। এ নিয়ে ও গবেষণা থাকতে হবে। বাংলাদেশ বর্তমানে এই পদ্ধতিতে টেস্ট করছে। এতে কমপক্ষে তিন ঘণ্টা লাগে।
রেপিড_টেস্ট পদ্ধতি: এটা নিয়েই সবাই হাইপড। কেন বাংলাদেশ এটা বানাচ্ছে না?? ১৫ মিনিটে সমাধান। মূল্য ও কম। এই রেপিড টেস্ট পদ্ধতিটি সিলভার কেটাগরির। মেডিক্যাল এর মানদন্ডে ৮০ শতাংশ সঠিক ফলাফল দিলে সিলভার কেটাগরির।
পরীক্ষা পদ্ধতি: সাধারণত এই পদ্ধতিতে টেস্ট কিটে specimen হিসেবে blood দেওয়া হয়। আর এই কিট এর মধ্যে virus এর এন্টিবোডি সনাক্ত করে। ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আমাদের রক্তে antibody তৈরি হয়। যদি antibody পাওয়া যায় তাহলে পজিটিভ।এতে পনেরো মিনিট সময় লাগে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে antibody তৈরি হয় ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য। এটি immune system. তাহলে যদি ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আপনি সুস্থ ও হয়ে যান তবুও পজিটিভ আসবে কারণ রক্তে এই antibody সৃষ্টি হয়েছে। আর রক্তে antibody যে covid-19 ধ্বংস করার জন্য তৈরি হয়েছে তা নিয়ে ও সন্দেহ থাকে। আর ১০ টি পরীক্ষার মধ্যে ২ টি ফলাফল ভুল হবে স্বাভাবিক ।
এটিকে বলে sensitivity।এর sensitivity 80%. তাই ভাইরাস ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে না পরলে WHO এই রেপিড কিট ব্যবহারে অনুৎসাহীত করেছে। কারণ একজন ব্যক্তি পজিটিভ হওয়ার পর যদি নেগেটিভ ফলাফল আসে তাহলে তার মাধ্যমে আরো অনেকে সংক্রমিত হতে পারে। আপনারা অনেকেই শুনতে পারেন টেস্ট এ ভুল ফলাফল আসে। এই রেপিড টেস্ট এই ভুল ফলাফল পাওয়া যায় অনেক সময়। তাই এটি নিয়ে অনেক গবেষণা দরকার। যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের সবচেয়ে বড় গবেষণাগার CDC এর রেপিড কিট এর উৎপাদনে সার্টিফিকেট দেয়নি এই সঙ্কটের মুহূর্তে। স্পেইন ৬৪০০০০ রেপিড কিট কিনেছিল দক্ষিণ কোরিয়া ও চীন থেকে। পরে তারা ব্যাপক false result পায়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment