মঙ্গলে যখন সূর্য অস্ত যায় তার কিছুক্ষণ পর তাপমাত্রা মাইনাস ৭৯ ডিগ্রির নিচে নেমে যায়। এই সময় আবহাওয়ামণ্ডলের উপরি ভাগে এক ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। এই বিক্রিয়া থেকে সেই আলট্রাভায়োলেট রশ্মি উত্পন্ন হয়। বিভিন্ন বিক্রিয়ার কারণে এই ধরনের ‘গ্লো’ পৃথিবীতেও ধরা পড়ে।
রাতের বেলায় মঙ্গল অদ্ভুত এক সবুজ রং ধারণ করে। তবে রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কারণে এটি মানুষের চোখ থেকে অদৃশ্য থাকে। ফলে এটি আমরা নগ্ন চোখে দেখতে পারি না। বিজ্ঞানীরা নাসার ম্যাভেন স্পেসক্র্যাফট থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করে জানতে পেরেছেন কেন মঙ্গলের লাল রং রাতে এভাবে বদলে সবুজ হয়ে যায়।
তারা দেখেছেন, মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে এক ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়। যার ফলে এক ধরনের আলট্রাভায়োলেট রশ্মি বিকিরণ করে। এই রশ্মি মানবচোখে অদৃশ্য। গবেষকরা বলছেন, তারা ম্যাভেন থেকে যে ডাটা পেয়েছেন তা মঙ্গল গ্রহকে জানতে এবং তার বায়ুমণ্ডলকে বিশেষভাবে জানতে সাহায্য করবে। এমনকি পৃথিবীর মতো আবহাওয়ার পূর্বাভাসও তৈরি করা সম্ভব হবে বলে তারা জানিয়েছেন।
এই আবহাওয়ার পূর্বাভাস ভবিষ্যতে মঙ্গলে মানুষের পাঠানো বিভিন্ন মিশনকে নিরাপত্তা দিতে সহায়তা করবে। কারণ, খারাপ আবহাওয়ায় বিভিন্ন মিশনের জন্য পাঠানো রোভারগুলো অবতরণে ঝুঁকি তৈরি হয়। আবহাওয়ার তথ্য আগেভাগে জানতে পারলে মহামূল্যবান যন্ত্রপাতিকে ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে নাসা এবং অন্যান্য মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।