১৩ বছরের কিশোরীকে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ বিয়ে করেন এবং বিয়েটি কিশোরীর পূর্ন মতামতেই হয়। ঘটনাটি ঘটে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পেরুলে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অন্যদিকে কিশোরীর সাথে কথা বলে জানা যায় বৃদ্ধের সাথে সম্পর্কের শুরু ও পরিনতি হিসেবে বিয়ের গল্পটি।
ক্লাস ফাইভ থেকে মেয়েটির সাথে বৃদ্ধের প্রেম ছিলও বলে জানা যায়। কিশোরী পেরুল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সামছুল হক নিজের রিকশায় তাকে নিয়মিত স্কুলে আনা নেওয়া করতেন। কাজের কারণে মাঝে মধ্যে তিনি ওই বাড়িতে রাত্রিযাপনও করেছেন। এ নিয়ে স্থানীয়রা আপত্তি করলে তিনি প্রাপ্ত বয়স হলে ওই মেয়ের সাথে নিজের ছেলে মনিরের বিয়ে হওয়ার কথা এলাকায় প্রচার করেন।
সবাইকে হতবাক করে ১৩ বছরের কিশোরীকে নিয়ে কুমিল্লা শহরে পালিয়ে যান বৃদ্ধ। পরে ১১ মে পেরুল দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান লোক-মারফত সামছুল হক ও ছাত্রীকে ইউপি কার্যালয়ে হাজির করে বিস্তারিত জানতে চান। তখন সামছুল হক ছাত্রীর প্রাথমিক শিক্ষা সনদ, জন্ম-নিবন্ধন সনদ ও বিয়ের কাবিননামা উপস্থাপন করেন। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার সনদ ও জন্ম-নিবন্ধনে মরিয়মের জন্মতারিখ উল্লেখ রয়েছে ০২/০২/২০০২ইং।
১০ মে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ৭নং ওয়ার্ড এর নিকাহ রেজিস্টার মুজিবুর রহমান সরকারের কার্যালয়ে ৫ লক্ষ টাকা মোহরানায় বই নং ৫৪, পৃষ্ঠা নং ২৮ ও ক্রমিক নং ৪৪০-এ তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়। কাবিননামায় সামছুল হকের জন্মতারিখ ০৩/০১/১৯৫৫ ইং উল্লেখ রয়েছে।
পেরুল দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান এজিএম শফিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে আমি উভয়কে আমার অফিসে ডাকি। বর ৬৫ বছরের বৃদ্ধ। কনের ১৮ বছর হয়নি। তবে তাদের উপস্থাপিত জন্ম-নিবন্ধন ও শিক্ষা সনদ অনুযায়ী কনে প্রাপ্ত বয়স্ক। কনেকে বারবার অনুরোধ করলেও সে পরিবারের কাছে ফিরে যেতে রাজি হয়নি।লালমাই থানার ওসি মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, আমরা ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছি। বাল্যবিয়ে দণ্ডনীয় অপরাধ। স্থানীয়রা আগে জানালে ব্যবস্থা নেয়া যেতো।
নতুন দম্পতি হরিশ্চর এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকছেন বলে জানা যায়। তাদের এই অসম বয়সের প্রেম, বিয়ে নিয়ে এলাকায় ও ফেসবুকে নানা আলোচনা চলছে।