আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১০ কিলোমিটার, মংলা থেকে ৬৯৫ ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিলো আম্পান।
এটি উত্তর উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতের পর থেকে বুধবার বিকেল বা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ৫-১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
কোন জেলার কী সংকেত:
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং চট্টগ্রাম জেলায় ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর বিপদসংকেত এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলছেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান যখন আঘাত হানবে তা অতি প্রবল হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। পূর্বের অভিজ্ঞতা বলে, এ ধরণের ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়।