সাম্প্রতিক শিরোনাম

এম.পির মোস্তাফিজের পদ বাতিলসহ আ. লীগ থেকে বহিস্কারের দাবীতে আন্দোলন অব্যাহত

বাঁশখালীর এম.পি মোস্তাফিজুর রহমানের সংসদ সদস্য
পদ বাতিলসহ আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কারের দাবীতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আন্দোলন অব্যাহত

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী মৌলভী সৈয়দের বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আলী আশরাফকে মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মাননা না জানানো, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে বাঁশখালীর এমপি মোস্তাফিজুর রহমান রীতিমতো কটুক্তি করে আসছেন। আওয়ামী রাজনীতির সাথে তিনি সম্পৃক্ত নয় বলেই তার ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে।

জামাত-শিবির ও রাজাকার আল- বদরদের সাথে রীতিমতো যোগাযোগ রয়েছে মোস্তাফিজের। এজন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা, সন্তান কমান্ড ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার পক্ষ থেকে ইতোপূর্বে চট্টগ্রাম থেকে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় এম.পি মোস্তাফিজুর রহমানের অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিলসহ আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার না করা পর্যন্ত সংগঠনের প্রতিবাদ কর্মসূচী চলমান থাকবে।

এ ঘটনার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে এম.পি মোস্তাফিজকে ছাড় দেয়া হবেনা। একইসাথে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। গত ২৪ আগস্ট চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে বাঁশখালী এম.পি মোস্তাফিজুর রহমানের নির্দেশে তার সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক বীর মুুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও মুুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের উপর হামলার প্রতিবাদে আজ ২৯ আগস্ট ২০২০ ইং শনিবার সকাল ১১টায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড বায়েজিদ বোস্তামী থানা কমিটি কর্তৃক নগরীর শেরশাহ এলাকায় আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়কে এম.পি মোস্তাফিজের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও চ্যানেল আই’র ব্যুরো প্রধান চৌধুরী ফরিদ বলেন, সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান একসময় জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। জাতীয় পার্টির গন্ধ এখনও তার শরীর থেকে যায়নি। মোস্তাফিজের নির্দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো জাতি কখনো সহ্য করতে পারেনা। সরকারের ভাবমূর্তি ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা রোধ করতেই এিম.পি মোস্তাফিজ এ হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে। তিনি এই সাংসদের সংসদ সদস্য পদ বাতিলসহ দলীয় সংগঠন থেকে বহিস্কারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোর দাবী জানান।

প্রধান বক্তা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি বলেন, বাঁশখালী জামাত অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। মানবতা বিরোধী অপরাধে দন্ডিত জামাত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ঘটনায় এম.পি মোস্তাফিজুর রহমানের মদদে বাঁশখালীতে নারকীয় তান্ডব চালানো হয়েছিল। জাতীয় দিবস গুলোতে জামাত নেতাদের নিয়ে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক প্রদান, জামাত ঘরানার লোককে কাজী নিয়োগসহ জামাত প্রীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শোকের মাসে প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে ন্যাক্কারজনক ঘটনার মূল নায়ক বাঁশখালীর এম.পি মোস্তাফিজুর রহমানের সংসদ সদস্য পদ বাতিলসহ আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বহিস্কারসহ হামলাকারীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় দেশজুড়ে সন্তান কমান্ডের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের উপদেষ্টা মোঃ জসীম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের (বাঁশখালী) এম.পি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী একজন সাংবাদিকের সাথে টেলিফোনে আলাপে বলেন, বাঁশখালীতে কোন মুক্তিযুদ্ধ হয়নি, বাঁশখালীতে কোনো মুক্তিযোদ্ধা নাই ও মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আরও কিছু বিরূপ মন্তব্য করেন। একজন এমপি’র এমন মন্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা হতবাক।

এই এমপি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং প্রয়াত নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু সম্পর্কেও কটুক্তি করেছিলেন। সংসদদে থাকার তার কোন অধিকার আছে বলে মনে করিনা। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড বায়েজিদ বোস্তামী থানা কমিটির সাবেক আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন আজাদের সভাপতিত্বে ও সদস্য শেখ সাদীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদ। প্রধান বক্তা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক ও চ্যানেল আই’র ব্যুরো প্রধান চৌধুরী ফরিদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের সহকারী কমান্ডার আবদুর রাজ্জাক, মহানগর ইউনিটের সহকারী কমান্ডার সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, সহকারী কমান্ডার খোরশেদ আলম (যুদ্ধাহত), সাতকানিয়া থানা কমান্ডার আবু তাহের এলএনজি, বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রাতিষ্টনিক কমান্ডের আহবায়ক ফজল আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের উপদেষ্টা মোঃ জসিম উদ্দিন চৌধুরী, পাহাড়তলী থানা কমান্ডার হাজী জাফর আহমদ, পতেঙ্গা থানা কমান্ডার জাকির হোসেন, পাঁচলাইশ থানা কমান্ডার আহমদ মিয়া ও এডভোকেট জহির উদ্দিন।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আলী আশরাফের সন্তান জহির উদ্দিন মোঃ বাবর, সন্তান কমান্ড মহানগর কমিটির যুগ্ম আহবায়কমিজানুর রহমান সজীব, বায়েজিদ বোস্তামী থানা কমিটির আহবায়ক মোঃ আবদুল্লাহ, সদস্য শওকত মাসুম, নাসির খান, খোরশেদ আলম বাবুল, যুবলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা আবু শাহাদাৎ সায়েম, মিস লিমা, দুলাল, জয়নুদ্দিন জয়, খোকন, পেয়ার আহমদ প্রমূখ।

সর্বশেষ

বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া সভাপতি ফারুকের প্রায় ১২০ কোটি টাকা ট্রান্সফার!

বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে বিশাল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে! ক্রিকেট বোর্ডের প্রায় ১২০ কোটি টাকার ফান্ড আওয়ামী ঘরানার দুই ইয়েলো...

২০০৯ এর বিডিআর বিদ্রোহ এবং ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতি

"২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় প্যারাশুট রেজিমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাটালিয়নের মেজর কমলদীপ সিং সান্ধু সেদিন "স্পিয়ারহেড" বা অগ্রগামী বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি...

কি ঘটেছিলো বিডিআর বিদ্রোহে! নেপথ্য কাহিনি

আলোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কাহিনি আজও অনুদ্ঘাটিত রয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও সেই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সত্য কেউ জানতে পারেনি। কীভাবে কার স্বার্থে এবং...

পিটিয়ে হত্যা: ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে ছাত্রদলের যে পাঁচজনকে দেখা গেছে তারা হলেন- সাঈদ হোসেন...