বিশেষ প্রতিনিধি: মোঃ শামীম আহমেদ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করে দলের অঙ্গ সংগঠনের কমিটি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সেই নির্দেশনায় অনুপ্রাণিত হয়ে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদ প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার মো: শফিকুর রহমান ভূঁইয়া।
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য এবং দীর্ঘদিন যাবত হাজীগঞ্জ উপজেলার ১১ নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ইতোমধ্যে ওয়ার্ড – ইউনিয়ন এবং উপজেলার আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে যেখানে আমি হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন সভাপতি হিসাবে পদ-প্রার্থী।
আপনারা জানেন এখানে অনেক গুণীজনরা সভাপতি হিসাবে বিগত
সময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি ও একবারের জন্য সুযোগ চাই। এ সুযোগে মাননীয় সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম (এম.পি) মহোদয় এর সাথে সমন্বয় করে জননেত্রী শেখ হাসিনার আগামীদিনের ভিষণ-২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে রূপকল্প বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গঠন সহ হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামিলীগের তৃণমূলের বঞ্চিত নেতা কর্মীদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন করতে কাজ করে যাবো।
ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয় এর হাতকে শক্তিশালী করা সহ হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের জন্য সবার সহযোগিতায় একটি দলীয় কার্যালয় স্থাপন করবো। এমন অঙ্গিকার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করছি এবং সবার দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করছি।
এক নজরে পড়ুন সভাপতি পদ প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শফিকুর রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনী
১৯৭৯ ইং – ১৯৮৫ইং
ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান ভূঁইয়া, কুমিল্লায় লেখা -পড়া করার সময় ১৯৭৯ সালে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের (শহীদ শামসুল হক টেকনিক্যাল কলেজ) ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক (বাংলাদেশ ছাত্রলীগ) নেতা হিসাবে জিয়াউর রহমান বিরোধী আন্দোলন এ প্রায় এক মাস জেলহাযতে ছিলেন । পরবর্তীতে প্রকৌশলী হিসাবে কানাডিয়ান সংস্থায় চাকুরির পর ঠিকাদারি করেন।
১৯৮৬ইং – ১৯৯০ইং
ঠিকাদারি ও চাকরীর পাশাপাশি আওয়ামীলীগের তৃণমূল সহ ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে মরহুম আঃ রব সাহেবকে সংসদ নির্বাচনে সহযোগিতা করেন। তৃণমূল রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পরবর্তীতে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন এ অংশগ্রহণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সহ অনেক বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন তিনি।
১৯৯১-১৯৯৫ ইং–
১৯৯১ সালে বি এন পি ক্ষমতায় আসার পর অত্যাচারে বাধ্য হয়ে ১৯৯৩ ইং সালে জাপানে যান। সেখানে প্রায় ৩ বছর থেকে ৯৬ সালে দেশে ফিরে আসেন।
১৯৯৬ইং-২০০৮ ইং–
১৯৯৬ ইং সালে আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে সরাসরি তৃণমূলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে ২০০০ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।পরবর্তীতে ২০০১ইং সালে আওয়ামীলীগ বিরোধী দলে যাওয়ার পর রাজপথে খালেদা জিয়া বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ওই সময় ২০০৪ ইং সালে ৬ এপ্রিলের বি.এন.পি বিরোধী হরতালে তিনিসহ প্রায় ৮১ জন ছাত্রলীগ – যুবলীগ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে ৪টি মামলা করে বিএনপি সরকার।এ সমস্ত মামলা শেষ করতে বিরাট ধরণের আর্থিক ক্ষতি হয় তাঁর।
শেষ পর্যন্ত ২০০৬ ইং সালে হার্ট অ্যাটাক করে বড় ধরণর সমস্যার পর ও রাজনীতির মাঠ হতে সরে যাননি তিনি। ২০০৮ ইং সালের ২৯শে ডিসেম্বরের ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম মহোদয় এর সমর্থনে ঢকাস্থ হাজিগঞ্জ – শাহরাস্তি আওয়ামী ঐক্য মঞ্চ করে বিশাল ভাবে শোডাউন করেন। ২০১৮ উপজেলা আওয়ামীলীগের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ হতে ঢাকার শোডাউন ও আলোচনা সভা সহ একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান ভূঁইয়া।
২০০৯ইং- ২০১৮ ইং–
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১৮ ইং সালের ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এবং দেশের খাদ্য উৎপাদন নিরাপত্তা ও নিরাপদ করার জন্য কর্মকান্ড অব্যাহত রাখে। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন টিমের সাথে সফর সঙ্গী হয়ে বিদেশ ভ্রমণ করেন।যার মাধ্যমে এবারও রাশিয়া, সিংগাপুর এবং জাতিসংঘের অধিবেশনে অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য।ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান সবার দোয়া ও সহযোগিতায় হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চান আমরণ।